রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ক্রমেই বাড়ছে দূরত্ব, জহরের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ কি পাকা?

September 2, 2022 | 2 min read

জহর ও তৃণমূলের বিচ্ছেদের পালা কি আগত? অন্ততঃ তেমন ইঙ্গিত মিলছে। কদিন আগেই প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তারপরই জহরের এ হেন আচরণের বিরুদ্ধে একে একে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সরব হন। দিন কয়েক ধরেই তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছিল দলের অবস্থান কোন দিকে যেতে পারে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি চাইলে দল ছাড়তে পারেন। সাংসদ জহর সরকারকে সম্মানজনক অব্যাহতি দিতে চাইছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলও তাই মনে করে। সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, দল তাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তাই তিনি কথা বলেছেন। দল যা জানাতে বলেছিল, ওনাকে তিনি তা জানিয়েছেন বলেও জানান সুখেন্দুশেখরবাবু। সেই সঙ্গে জহর সরকার যা বলেছেন তা দলকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।

জহর সরকারের দল বিরোধী মন্তব্যের পরে প্রথম সরব হয়েছিলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জহর সরকারকে পদ ছাড়ার কথাও বলেন। জহরের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পদক্ষেপ করার উচিত বলেও জানিয়েছিলেন সৌগত বাবু। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায়ের মতে, জহর সরকারের এহেন মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অরাজনৈতিক। তাপস রায়ের কথায়, রাজ্যসভার নির্বাচনে তিনি জহরবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলেন বলে তিনি লজ্জিত।

রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসেবে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহরের নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপরই বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ। দীনেশের ছেড়ে যাওয়া পদেই জহরকে পাঠান মমতা। ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত তার সাংসদ পদের মেয়াদ রয়েছে। তার মধ্যেই দল বিরোধী মন্তব্য করে বসেছেন সাংসদ। প্রকাশ্যে জহর প্রসঙ্গে দল কিছু না জানালেও আস্তে আস্তে দূরত্ব তৈরি করছে জোড়াফুল শিবির। এখন দেখার জহর প্রসঙ্গে কী অবস্থান নেয় তৃণমূল শিবির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #politics, #Trinamool Congress, #Jawhar Sircar, #West Bengal

আরো দেখুন