দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা শুভেন্দুর, কলকাতা হাইকোর্টেই থাকলো নন্দীগ্রাম মামলা
দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়। ওই মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর দাবিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল। আজ ২ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালত ওই মালমা কলকাতা হাইকোর্টের ফিরিয়ে দিল।
নন্দীগ্রামের ভোট পুনর্গণনার মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্যত্র সরানোর আর্জি নিয়ে বিগত মাসে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলার নিরপেক্ষ বিচার হবে না। সেই কারণেই দেশের অন্য যেকোন হাইকোর্টে ওই মামলা সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ২ সেপ্টেম্বর শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চ জানায়, ওই মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হলে হাইকোর্টের প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে পুনর্গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই মূলত মমতা করচুপির অভিযোগ করেছিলেন। মামলাটি প্রথমে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে গিয়েছিল। বিচারপতি কৌশিক চন্দের সঙ্গে বিজেপির পূর্ব যোগাযোগের অভিযোগে নিরপেক্ষ বিচারের জন্যে ওই মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ওই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে মামলাটি পৌঁছয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে ওই মামলার শুনানিও শুরু হয়েওছিল। কিন্তু তারপরেই মামলাটি রাজ্যের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মর্মে দেশের সর্বোচ্চ মামলা দায়ের করেন তিনি। শুভেন্দুর সেই দাবি খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।