বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ঘরওয়াপসির প্রস্তুতি শুরু, শিন্দে-ফড়ণবিশ সরকারের পতন কি সময়ের অপেক্ষা?
মাত্র আড়াই মাসেই মোহভঙ্গ? সব হাঁটতে শুরু করেছেন শিবসেনার একনাথ শিন্দে গোষ্ঠী-বিজেপি জোট সরকার। মন্ত্রিসভা গড়তে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়েছেন শিন্দে (Eknath Shinde) ও ফড়ণবিশ (Devendra Fadnavis)। শিন্দেকে নিয়ে মহারাষ্ট্র বিজেপিও সন্তুষ্ট নয়। এর মধ্যে নতুন মহারাষ্ট্র সরকারের ভীত কেঁপে উঠেছে। মন্ত্রিত্ব না মেলায় শিবসেনার বিধায়করা ফের উদ্ধব শিবিরে ফিরতে চাইছেন বলে খবর।
শিবসেনার ৪০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী বিধায়ক উদ্ধব শিবির থেকে বেরিয়ে এসে শিন্দে শিবিরে যোগ দেন। যার নেপথ্যে ছিল বিজেপি। গুজরাত, অসমে রিসর্ট পলিটিক্সের পর বিজেপির হাত ধরে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নেতা শিন্দে মহারাষ্ট্রের গদি দখল করতেই, নাটকের অবসান হয়। মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্দে আর উপমুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। মন্ত্রিত্বের টোপ দিয়েই শিবসেনা বিধায়কদের ভাঙিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে শিন্দে শিবিরের অন্দরে চওড়া হচ্ছে ফাটল। শিন্দে নিজের শিবির থেকে মাত্র নয় জনকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিতে পেরেছেন। কারণ শিন্দে নামেই মুখ্যমন্ত্রী, কাজ চলছে বিজেপি (BJP) তথা ফড়ণবিশের অঙ্গুলি হেলনে। যদিও শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দাবি, গুয়াহাটির হোটেলে শিন্দে নাকি ৩০ জন বিধায়ককে মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রতিশ্রুতিমতো মন্ত্রিত্ব না মেলায় বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়ক ইতিমধ্যেই উদ্ধব শিবিরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে সংখ্যাটা আপাতত পাঁচ, তবে আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। শঙ্কিত শিন্দে-ফড়ণবিশ জুটি। কারণ বেশি সংখ্যক বিধায়কেরা সমর্থন প্রত্যাহার করলেই পড়ে যাবে শিন্দে-ফড়ণবিশ সরকার। এখন দেখার কতদিন টিকতে পারে শিন্দে-ফড়ণবিশ সরকার।