আজ নবান্নে পর্যবেক্ষণ বৈঠক মমতার, কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই রাজ্যের প্রধান লক্ষ্য। এই কাজে কোনরকম বিলম্ব বা অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না, জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে সাফ বার্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জনপ্রতিনিধি থেকে আধিকারিক সকলের উদ্দেশ্যেই একই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে কাজ। সেই নির্দেশ মতো কতটা কী কাজ হল, কোন কাজ কোন পর্যায়ে আটকে তার খোঁজ খবর নিতেই আজ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যবেক্ষণ বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে আজকের বৈঠকে গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প, শিল্প, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েই মূলত আলোচনা করা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে গ্রামোন্নয়নকে। মোদী সরকারের হাজারও বঞ্চনার পরেও রাজ্য অনেক ক্ষেত্রেই নিজ উদ্যোগে বাংলার গ্রামোন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন, মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের শুরুতেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, সেই আবহেই গ্রামোন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতে এবং কাজের মান আরও ভাল করার বিষয়ে বার্তা আজ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, নবান্নে আজ দুপুর ১টায় পর্যবেক্ষণ বৈঠক শুরু হবে। সমস্ত দপ্তরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবরা উপস্থিত থাকবেন আজকের বৈঠকে। ডিজিসহ রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারাও হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন। ব্লক ও মহকুমাস্তরের আধিকারিকদেরও ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রতিটি বিএলআরওকেও আজকের বৈঠকে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একেবারে শেষ দিকে তাদের যোগ দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
আজকের বৈঠকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের জন্যে মমতা কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে থাকবে সকলেই। মনে করা হচ্ছে, এদিনের বৈঠক থেকে শিল্প নিয়েও বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি শিল্পতালুক গড়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মনে করা হচ্ছে, পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।