রাজ্যের মুকুটে আরও এক পালক, ঋণের বোঝা কমানোর নিরিখে দেশ সেরা বাংলা
এবার রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হল আরও এক পালক। ঋণের বোঝা কমানোর নিরিখে দেশের সেরা রাজ্যের স্বীকৃতি পেল বাংলা। মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা থেকেই এল এই স্বীকৃতি।
দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯-এর মার্চ, পর্যন্ত চার অর্থ বছরে ঋণ কমানোর নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ করেছে বাংলা। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি দেশের অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ স্বশাসিত এক গবেষণা সংস্থা। দেশের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ, কর-শুল্ক ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা এবং সরকারের আর্থিকনীতি নির্ধারণে সাহায্য করাই এই সংস্থার কাজ।
রাজ্য সরকারের এহেন আর্থিক কার্যকলাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অর্থনীতিবিদেরা। এ প্রসঙ্গে বাংলার শাসক দল তৃণমূলের বক্তব্য, বাম সরকারের একের পর এক ভুল আর্থিক নীতির জন্য। ঋণের জালে জর্জরিত ছিল বাংলা। মোদী সরকারের (Modi Govt) রিপোর্ট বলে দিচ্ছে, কেন্দ্রকেও মানতে হচ্ছে, ঋণশোধে বাংলা (West Bengal) সফল। তালিকায় একেবার উপরের দিকেই রয়েছে বাংলা। পুরনো ঋণ থাকায়, ঋণশোধ করেও সুবিধা পাচ্ছে না বাংলা। এই প্রসঙ্গে মোদী সরকারকেও আক্রমণ করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি বামেদের বিরুদ্ধেও আক্রমণের সুর চড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। তৃণমূলের বক্তব্য, বাংলাকে আর্থিকভাবে শূন্য করে গিয়েছে বামেরা। মোদী সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের রাজ্য বাংলা প্রাপ্য এক লক্ষ কোটি টাকাও পাচ্ছে না। বিজেপি (BJP) ও বাম বাংলার মানুষকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের রাগ মেটাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তখন বাম জমানার ঘাটতিশূন্য বাজেটের দৌলতে বিপুল দেনাও চেপেছিল তৃণমূল সরকারের কাঁধে। ২ লক্ষ কোটি টাকার সেই ঋণ ও সুদ সামলেও এগিয়েছে রাজ্য (West Bengal)। এনআইপিএফপি বলেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে চার অর্থ বছরে দেশের যে ৫টি রাজ্য ঋণ কমিয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বাংলা। ৩৩.৮৭ শতাংশ থেকে কমে ঋণের বোঝা ৩০.৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে বাংলায়।