পঞ্চায়েতে রামধনু জোট! ঘাসফুলের বিস্তার রুখতে বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন BJP-র?
বাংলায় রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে বিজেপি। সংগঠনের হাল বেহাল। শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। তুমুল কোন্দলে বিপর্যস্ত বিজেপি। এই অবস্থাতে এসে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটে (panchayat polls) যেখানে যেখানে বিজেপির সংগঠন দুর্বল, প্রার্থী দেওয়ারও ক্ষমতা নেই বিজেপির, সেখানেই নির্দলদের সমর্থন করার কথা ভাবছে বঙ্গ বিজেপি।
এক কথায় বিজেপি লড়াই করার কোন ক্ষমতা নেই। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দিল্লির কাছে মুখ রক্ষা করতে এক কৌশল নিয়েছে বিজেপি, তৃণমূলকে হারাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস বা বামকে গোপনে সমর্থনের করতে পারে গেরুয়াবাহিনী। জীর্ণ গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে (TMC) হারাতে এমনই পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছে। এক কথায়, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে রুখতে এবার বাম আর রামের জোট হতে চলেছে। রাজ্য বিজেপির কেউ কেউ বলছেন, যেখানে প্রার্থী দিতে পারবে না বিজেপি, সেখানে বাম-কংগ্রেসকে সমর্থনেও তারা রাজি। ফলে একটা জগা খিচুড়ি বাঁধতে চলেছে। দিল্লি বিজেপির কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলছে, কংগ্রেস আর সিপিআই(এম) (CPIM) বিজেপিকে তাদের প্রধান শত্রু বলে চলে। সেখানে নীতি আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে, সবাই রামধনু জোট করতে চলেছে। উদ্দেশ্য একটাই তৃণমূলকে ঠেকানো।
বিজেপির অন্দরে খবর বাংলার অধিকাংশ জেলা ও মণ্ডল পঞ্চায়েত এখনও কমিটিই তৈরি করা যায়নি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এহেন সাংগঠনিক দুর্বলতা বিজেপির মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম হয়ে জমছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যে বঙ্গ বিজেপির সমন্বয় কমিটির ইনচার্জ সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, কো-কনভেনর সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক দীপক বর্মনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে হাজির ছিলেন।
পঞ্চায়েতকে সামনে রেখেই রাজ্যে পাঁচটি জোন ভাগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ দায়িত্বে দেবশ্রী চৌধুরী। রাঢ় বঙ্গের দায়িত্বে থাকছেন সৌমিত্র খাঁ। হাওড়া-মেদিনীপুর জোনে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা জোন সামলাবেন দীপক বর্মন। নবদ্বীপ জোন দেখবেন শ্যামাপদ মণ্ডল। অন্যদিকে বাংলায় বিজেপির ৪২টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৪২ জনকে। শোনা যাচ্ছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা জিতেছিলেন, তারা সকলকেই টিকিট পাবেন। নতুন প্রার্থীর খোঁজ শুরুও করেছে বিজেপি। তবে সংখ্যালঘু একাধিক কিছুই করে উঠতে পারেনি বিজেপি। কমিটিই নাকি তৈরি করা যায়নি। সংখ্যালঘু এলাকায় প্রার্থী না দিতে পারলে অন্য দলকেই সমর্থন করবে বিজেপি (BJP), তেমনই জানাচ্ছেন নেতারা।