প্রতিবেশী রাজ্যের কারণেই দূষিত হচ্ছে বাংলার বায়ু? মত পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের
অন্য রাজ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলার বায়ু। তেমনই বলছে তথ্য। ‘আন্তর্জাতিক ক্লিন এয়ার ডে’ উপলক্ষ্যে ৭ সেপ্টেম্বর পরিবেশ ভবনে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, বাংলা তথা কলকাতার বায়ুদূষণের জন্যে প্রতিবেশী রাজ্যগুলি ৪০ শতাংশ দায়ী। পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দূষিত বায়ুর কারণেই বাংলার বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। প্রতিদেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে আগত দূষিত বায়ুও কলকাতার দূষণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব রোশনি সেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, পর্ষদের সদস্য সচিব ডঃ রাজেশ কুমার, দিল্লি আইআইটির অধ্যাপক সাগ্নিক দেসহ অন্যান্যরা গতকালের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ পড়ুয়াদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আলোচনা সভাতেই দিল্লি আইআইটির অধ্যাপক সাগ্নিকবাবু বায়ুদূষণের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, প্রতি বছর কলকাতা এবং রাজ্যে বায়ুদূষণের জন্যে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী।
অধ্যাপকের মতে, আমেরিকার এক সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টে কলকাতার বায়ুদূষণের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তিনি জানাচ্ছেন, বাংলায় বাতাসের গুণমান মার্কিন সংস্থার রিপোর্টের তুলনায় কিছুটা হলেও ভাল। তবে বায়ুদূষণ রুখতে পদক্ষেপ করতেই হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য একাধিক নজরদারি কেন্দ্র তৈরির উপর জোর দিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, এখন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ১৩২টি সেন্সর সিস্টেম কাজ করছে। এছাড়াও ৮৯টি ম্যানুয়াল নজরদারি কেন্দ্র রয়েছে। নতুন করে ৮টি সেন্সর মনিটরিং সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বারাকপুর ও দুর্গাপুরে শীঘ্রই বাতাসের গুণমান পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হতে চলেছে।