সরকারি জমিতে নয়া শিল্পস্থাপন নয়, জমি বেচে ভাঁড়ার ভরাচ্ছে মোদী সরকার
মোদী আমলে দেশের শিল্প সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে। কবে নতুন শিল্প আসবে? বিধাতাও হয়ত তা বলতে পারবেন না। শিল্প স্থাপনের জমি নিয়েও মোদী সরকারের দ্বিচারিতা জারি রয়েছে। সরকারি জমি বিক্রি করতে মোদী সরকারের বিন্দুমাত্র উৎসাহের অভাব নেই! একদিকে রাজ্যগুলিকে শিল্পস্থাপনের জন্যে জমি চিহ্নিতকরণ করতে বলা হচ্ছে। আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় জমি ব্যাঙ্ক স্থাপনের ফন্দি আঁটছে মোদী সরকার। তবে কি জমি বিক্রির পথে এগোচ্ছে মোদী সরকার?
শিল্পস্থাপনের নামে গোটা দেশের কোন রাজ্যে কত জমি পাওয়া তা দেখে নিতে চাইছে মোদী সরকার (Modi Govt)। আদপে কোন কোন সরকারি জমি ও সম্পত্তি বিক্রি করা যায়, সেই তালিকা প্রস্তুত করতেই এমনটা করা হচ্ছে। সরকারি জমিতে নয়া শিল্পস্থাপন নয়, সেগুলি বিক্রি করে ভাঁড় ভরাতে আগ্রহী মোদী সরকার।
রেল, টেলিকম, বন্দর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিত্যক্ত এবং অব্যবহৃত জমি বিক্রির উদ্যোগ শুরু করেছে মোদী সরকার। বিক্রির পথ প্রশস্ত করতে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। সরকারের কোন মন্ত্রকের কত জমি এবং স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রাখা হবে। রেলমন্ত্রকের আওতাধীন কন্টেইনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (Container Corporation of India Ltd) বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ করছে মোদী সরকার। বিক্রির প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে রেলের ল্যান্ড লাইসেন্স ফি ছয় থেকে দেড় শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে জমি কেনার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিকরে উৎসাহ পায়।
সম্প্রতি লিজের মেয়াদ বৃদ্ধিও করা হয়েছে, পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হয়েছে। রেলের জমির বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতেই ল্যান্ড লিজ পলিসি এনেছে মোদী সরকার। দেশের বিভিন্ন শহরে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের জমি ও সম্পত্তি বিক্রির তালিকা পর্যন্ত প্রস্তুত করে ফেলেছে মোদী সরকার। টেলিকমের মোট ১৭টি জমি ও সম্পত্তি মিলিয়ে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী সরকার। শিল্প স্থাপনের জমিগুলি বিক্রির পথ একপ্রকার পাকা করে ফেলেছে মোদী সরকার।