বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

প্রয়াত ফরাসি সিনেমার অন্যতম স্তম্ভ জঁ লুক গদার, শোকস্তব্ধ সিনেমাপ্রেমীরা

September 13, 2022 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: Hero Magazine

প্রয়াত ফরাসি New Wave সিনেমার অন্যতম স্তম্ভ জঁ লুক গদার। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১। লিবারেশন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রয়াণের খবর। বিশ্ব সিনেমার অন্যতম, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র সমালোচক এবং প্রভাবশালী পরিচালক ছিলেন তিনি।

২০১০ সালে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয় গদারকে, কিন্তু তিনি এই অনুষ্ঠানে আসেন নি প্রত্যন্ত বার্ধক্যজনিত কারণের জন্য এবং উড়োজাহাজে সিগার খাওয়া যায় না বলে।

২০০২ সালে, সমালোচকদের প্রদত্ত ভোটে তিনি সর্বকালের সেরা দশ পরিচালকের তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। সাইট অ্যান্ড সাউন্ড ম্যাগাজিনের আয়োজনা করেই এই সমীক্ষা। বলা হয়ে থাকে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের যে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাতার চেয়ে তাঁর কাজ ব্যতিক্রমী ও রাজনৈতিক। গদার চলচ্চিত্র সমালোচক ও তাত্ত্বিক হিসেবেও বেশ প্রতিষ্ঠিত।

ফ্রান্সের এক ফ্রাঙ্কো-সুইস পরিবারে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর গদারের জন্ম। সুইজারল্যান্ডে শুরু হয় গদারের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন। এরপর ১৯৪৬ সালে তিনি প্যারিসে ফেরেন। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী লিসি বুফোন স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এ সময় প্যারিসের বেশ কয়েকটি সিনেমার ক্লাবে যাতায়াতের সূত্রে পরিচয় হয় আন্দ্রে ব্যাজা,জ্যাকুয়েস রিভেটি, ক্লদ শ্যাব্রল, ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো প্রমুখ চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সঙ্গে। চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে শুরু হয় গদারের সিনেমা চর্চা। এই সময়েই তারা প্রকাশ করেন কাহিয়ের দ্যু সিনেমা নামের চলচ্চিত্র পত্রিকা ।

এরপর ১৯৫২ সালে সুইজারল্যান্ডে একটি বাঁধে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেন গদার। এই কাজ করার সময়ই বাঁধটি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের চিন্তা তার মাথায় আসে। সে অনুযায়ী ৩৫ মিমিতে তিনি নির্মাণ করেন অপারেশন কনক্রিট। এরপর একে একে অল দ্য বয়েস আর কলড প্যাট্রিক (১৯৫৭), চার্লট অ্যাট সান জুলস (১৯৫৮) ইত্যাদি।

গদারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ব্রেথলেস (১৯৬০)। এই ছবিটিই তাঁকে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি এনে দেয় এবং ‘ব্রেথলেস’কে ফরাসি New Wave-এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়।

গদারের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে—দ্য লিটল সোলজার (১৯৬০), অ্যা উইম্যান ইজ অ্যা উইম্যান (১৯৬১), মাই লাইফ টু লিভ (১৯৬৩), কনটেম্পট (১৯৬৩), অ্যা মেরিড উইম্যান (১৯৬৪), পিয়েরে ল্য ফু (১৯৬৫), মেইড ইন ইউ. এস. এ (১৯৬৬), উইক অ্যান্ড (১৯৬৭), নিউ ওয়েভ (১৯৯০), জেএলজি/জেএলজি (১৯৯৪), গুডবাই টু ল্যাঙ্গুয়েজ (২০১৪) প্রভৃতি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Entertainment, #Cinema, #Director, #RIP, #france, #Jean-Luc Godard, #french movies, #worldcinema

আরো দেখুন