পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়েছে BJP-র কর্মীরাই, অমিত মালব্যর দাবি নস্যাৎ সামাজিক মাধ্যমে
মঙ্গলবার বিজেপি’র নবান্ন অভিযান ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা ও হাওড়া। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের। গ্রেপ্তার করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেককে।
সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া ময়দান, এমজি রোড-সহ একাধিক জায়গায় হিংসার আগুন জ্বলেছে। তখনও সাঁতরাগাছিতে নবান্ন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মী। যা শুরু হয়েছিল দুপুর দেড়টা নাগাদ। সাঁতরাগাছির পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। গোটা কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে হাজার হাজার আধলা ইটের টুকরো, ছেঁড়া চটি, ছিঁড়ে যাওয়া জামার অংশের সঙ্গে পড়ে রয়েছে ডজন ডজন টিয়ার গ্যাসের শেল। যেন যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি!
বিজেপি’র নবান্ন অভিযান ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধের পর তা নিয়ে শাসক-বিরোধীর তরজা শুরু হল। এই হিংসার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির আইটি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘পুলিশের দিকে পাথর ছু়ড়তে তৃণমূলের ক্যাডারদের পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে এ নিয়ে বিজেপির উপরে দোষ দেওয়া যায়… ।’ তার সঙ্গে বড়বাজারে পুলিশের একটি গাড়ি জ্বলছে, এরকম একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিতের টুইটের জবাব দেন এক সাংবাদিক। তিনি পালটা একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘না স্যার, করদাতার টাকা দিয়ে কেনা গাড়িটি আপনার দলের কর্মীরাই ভাংচুর করেছে। আপনি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তা বড়বাজারের অসহায় দোকানদারদের, যারা তাদের দোকানগুলিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে শাটার নামাতে ব্যস্ত ছিলেন।…।’
অমিত মালব্যর এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে শাসকদলের পাল্টা দাবি, নবান্ন অভিযানে ব্যর্থতা ঢাকতেই এ ধরনের মন্তব্য করে নজর ঘোরাতে চাইছেন অমিত মালব্য। বিজেপি যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অর্থ জানে না, সে দাবিও করা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।