রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ব্যর্থ বিজেপির অভিযান? দেদার গুন্ডামি দেখে তিরস্কার নিত্যযাত্রীদের

September 13, 2022 | 2 min read

গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতারা নবান্ন অভিযান নিয়ে গাল ভরা দাবি করছিলেন। কিন্তু অচিরেই ব্যর্থ হল গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান। কথায় বলে যত গর্জায় তত বর্ষায় না, কার্যত এই বহুলপ্রচলিত প্রবাদই আজকের নবান্ন অভিযানকে ব্যাখ্যা করতে যথেষ্ট। বিজেপি নেতারা গত কদিন ধরেই ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। দফায় দফায় নানা কথা বলে সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত করার পুরোদস্তুর চেষ্টা চলে। কিন্তু কর্মসূচির দিন জ্বললই না বিজেপির মশাল।

তিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বে তিন মিছল নিয়ে নবান্ন অভিযানের ছক কষেছিল বিজেপি। নবান্ন তো দূরস্থ, নবান্নের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারল না বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আজকের তিন মিছিলের তিন মুখ ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনজনের কেউই নবান্নের দেখা পেলেন না।

‘চূড়ান্ত ফ্লপ’ শুভেন্দু অধিকারী:

আজকের নবান্ন অভিযানে চূড়ান্ত ফ্লপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছির দিক থেকে আসা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিরোধী দলনেতার। কিন্তু তার অনেক আগেই শুভেন্দুকে বাধা দেয় পুলিশ। সামান্য বাধা পেতেই কোনরকম প্রতিরোধের চেষ্টা না করে নিজে প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন শুভেন্দু। আটক করার পর তাকে লালবাজারে নিয়ে আসে পুলিশ। শুভেন্দুর সঙ্গেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে আটক করা হয়। নেতৃত্বের অভাবে সাঁতরাগাছির মিছিল কোনও দাগ কাটতে পারেনি। দিশাহীন মিছিলকে সহজেই ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ সুকান্ত মজুমদার:

রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দলের প্রথম বড় কর্মসূচিতে নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দাগ কাটতে পারলেন না সুকান্ত। মুখেন মারিতং জগৎ হয়েই থাকলেন রাজ্য সভাপতি। তার নেতৃত্বে হাওড়া ময়দানের মিছিল বঙ্গবাসীর কাছেই ধাক্কা খেল। ওই মিছিল থেকে পুলিশি প্রতিরোধ ঠেলে এগোনোর কোনরকম চেষ্টা দেখা যায়নি। জল কামানের আক্রমণ শুরু হতেই আর দেখা মেলেনি সুকান্তর। পরে অবশ্য রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তিনি। দিনের শেষ লগ্নে তাকেও আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘দিশাহীন’ দিলীপ ঘোষ:


বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছিলেন কলেজ স্কোয়ারের মিছিলের দায়িত্বে। সে মিছিলের কপালেও নবান্নের মুখ দর্শন করার সৌভাগ্য হয়নি। এদিন সকাল থেকেই দিলীপ ছিলেন দিশাহীন। নেতৃত্বের অভাব ওই মিছিলটির ক্ষেত্রেও চোখে পড়েছে। মিছিলে এগোতে শুরু করতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে ভিড়। তারপর ২ বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ দিলীপ ঘোষণা করে দেন নবান্ন অভিযান শেষ। তখনও বিজেপি নেতা-কর্মীরা রাস্তায় ছিলেন, এমনকি বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু এলাকায় জমায়েত ছিল কিন্তু তারপরেও কেন তড়িঘড়ি অভিযান শেষের ঘোষণা করলেন দিলীপ? সে প্রশ্ন থাকছেই।

অন্যদিকে, এদিন নাজেহাল হল আম জনতা। স্কুল পড়ুয়াদের পরীক্ষা থাকায় তারা প্রায় সকলেই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ফেরার সময় প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েছে। নিত্যযাত্রীরাও নাকাল হলেন। সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে এমন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#politics, #nabanna abhijan, #West Bengal, #Nabanna, #bjp, #Bengal BJP

আরো দেখুন