আবারও বঞ্চিত বাংলা, রাজ্যের কেরোসিন কোটায় কোপ মোদী সরকারের
বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বঞ্চনা চলছেই, এবার কোপ পড়ল বাংলার কেরোসিন কোটায়! রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিনের কোটা কমিয়ে অর্ধেক করল মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে নয়া কোটা কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত প্রতি তিন মাসে রেশন গ্রাহকদের জন্যে বাংলাকে প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন দেওয়া হত। বাংলার মাসিক বরাদ্দ ছিল ৫৮ হাজার ৬৬৮ কিলোলিটার। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে প্রতি তিন মাসের বরাদ্দ কমিয়ে ৮৮ হাজার ৩৩২ কিলোলিটারে নামিয়ে আনা হচ্ছে। নয়া হিসেবে রাজ্যের মাসিক বরাদ্দ হবে ২৯ হাজার ৪৪৪ কিলোলিটার।
দেশের পেট্রলিয়াম মন্ত্রক প্রায় সব রাজ্যের ক্ষেত্রে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কেরোসিনের (kerosene) বরাদ্দ সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। অন্য কোনও রাজ্যের বরাদ্দ কমানো না হলেও, বাংলার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই উঠছে প্রশ্ন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অক্টোবর থেকে বাংলার প্রায় ৯ কোটি রেশন গ্রাহকের মাথাপিছু কেরোসিন বরাদ্দ কমছে। কিন্তু কতটা করে কমবে তা ঠিক করবে রাজ্য খাদ্যদপ্তর।
মোদী সরকার ২০১৬ সাল থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন রাজ্যের কেরোসিনের কোটা কমানোর নীতি গ্রহণ করে। এই সময় কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলার কারণে বাংলার কেরোসিনে বরাদ্দে কোপ মারতে পারেনি মোদী সরকার (Modi government)। কিন্তু ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি সম্প্রতি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। মামলা প্রত্যাহার হতেই বাংলার কেরোসিনের কোটা কমানোর পথে হাঁটল মোদী সরকার। পশ্চিমবঙ্গ কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্তের কথা, কেন্দ্র সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যায় পড়বেন রাজ্যের গরিব মানুষ। কমিশন থেকে আসা ডিলারদের আয়ও কমবে। অন্যদিকে, কেরোসিনের সরবরাহে টান পড়লে, স্বভাবতই দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে।