নবান্ন অভিযানে ‘হেভিওয়েট’ নেতারা ময়দান ছেড়ে পালানোয় ক্ষুব্ধ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?
মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে দলের দিল্লির নেতাদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ ছিল। সারাদিন টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রখেছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে হতাস হতে হল তাঁদের। দলের নেতারা যেভাবে নবান্ন অভিযানের রাশ নিজেদের হাতে না রেখে শুরুতেই কর্মীদের উপর ছেড়ে দেন তা ঠিক হয়নি বলে মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি খারিজ করে আদালতের উপর ভরসা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ্যে তাঁরা এবিষয়ে কিছুই বলছেন না। বরং তাঁরা প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করছেন রবিশংকর প্রসাদ ও অমিত মালব্যর মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির একাংশের মতে আসলে ‘মুখরক্ষার’ জন্যই তাঁদের এরকমটা বলতে হচ্ছে।
নবান্ন অভিযানে রাজ্যে দলের তিন মুখকেই সামনে রাখা হয়েছিল। যাতে ‘বহিরাগত’ বিষয়টি উথ্থাপিত না হয়। কিন্তু শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষরা যে ভাবে আন্দোলনের ময়দান ছেড়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলীয় কর্মীদের সামনে এগিয়ে দিয়ে তাঁরা কেন হাত গুটিয়ে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছেন, এই ধরণের কর্মসূচি নেওয়ার আগে পাঁচবার ভাবনাচিন্তা করতে হবে। কারণ, নেতাদের এই ধরনের আচরণ কর্মীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।