এক বছরেই এল সাফল্য, রাজ্যের উদ্যোগে সুন্দরবনে বাড়ল রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা
কমছিল রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা, রাজ্যের উদ্যোগে সুন্দরবনের গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছিল সেভ টাইগার, সেভ বেঙ্গল কর্মসূচি। এক বছরের মধ্যেই মিলল সুফল। হঠাৎ করে বাংলায় রয়্যাল বেঙ্গলের এই সংখ্যা বৃদ্ধিকে রাজ্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সুফল বলছেন বন দপ্তরের কর্তারা। গ্রামে বাঘ ঢোকা ঠাকাতে জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবারের জোগান বজায় রাখার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। খাবারের কারণেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে ওপারের বাঘেরা। আর বনের খাবারে টান পড়লেই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাঘ নিয়ে মাস্টার প্ল্যান বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঘের পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান বজায় রাখতে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হরিণ ও শূকর নিয়মিতভাবে গভীর জঙ্গলে বাঘের এলাকায় ছেড়ে দিয়ে আসা হয়। সুন্দরবনবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গ্রামগুলিকে বিশেষ তারজাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।
এপার বাংলার সুন্দরবনে এই মুহূর্তে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমবেশি ১২৩টি। বিগত বছরে বাঘের সংখ্যা ছিল ৯৬টি। চলতি বছর নতুন করে ২৭টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে সুন্দরবনের রামগঙ্গা ও অন্যান্য এলাকায় অন্তত পাঁচটি দ্বীপে বাঘের সন্ধান মিলেছে। এই দ্বীপগুলিতে নতুন করে টাইগার রিজার্ভ এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এখানকার বাঘের সংখ্যাটাও শুমারিতে যুক্ত করা হবে। কেবল বাঘ নয়। রাজ্যের নানা উদ্যোগের কারণে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলে হাতি ও বাইসনের সংখ্যাও বাড়ছে।