হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

মোদীর মিথ্যের পাঁচালি

September 17, 2022 | 2 min read

মিথ্যাচার আর নরেন্দ্র মোদী যে সমার্থক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতবাসী তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে! তবে কেবল রাজনৈতিক মঞ্চে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে নয়; নিজেকে নিয়েও মিথ্যার বেসাতি করতে ছাড়েন না মোদী।

আজ তার জন্মদিনে জেনে নিন মোদীর সপ্তকাণ্ড-

২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে মোদীকে চাওয়ালা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। মোদী নিজেও প্রচার করতেন, গুজরাতের ভডনগর স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানের মাধ্যমে অতি কষ্টে দিন গুজরান করতেন তারা, তিনি নিজেও কাজ করতেন দোকানে। হরিয়ানার আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারীক মোদীর বাবা দামোদরদাস মোদীর চায়ের দোকান সম্পর্কে আরটিআই করলে, পশ্চিম রেল জানিয়েছিল, এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই!

মোদী নানা অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন, তেমনই একদা কুমিরের বাচ্চাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসার গপ্পো বলেছিলেন তিনি। যদিও তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

একটা সময় পর্যন্ত শোনা যেত এন্টার পলিটিক্যাল সায়েন্সে মোদী স্নাতকোত্তর করেছেন। ভূ-ভারতে বা পৃথিবীর কোনও প্রান্তে এমন বিষয়ে অধ্যয়ন হয় বলে জানা যায়নি।

মোদীর মোহমায়ামুক্ত-নির্লোভ ইমেজ গড়তে, তাকে অকৃতদার হিসেবে একটা সময় অবধি প্রচার চালাত বিজেপি কিন্তু হঠাৎ করেই সামনে চলে আসেন মোদী বিয়ে করা স্ত্রী।

কয়েক বছর আগেই মোদী দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি ১৯৮৭-৮৮ সাল নাগাদ ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ই-মেল ব্যবহার করেছিলেন। সেই সঙ্গেই নিজেকে দেশের প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহারকারী ব্যক্তি বলেও দাবি করেছিলেন মোদী। প্রসঙ্গত, জাপানি ক্যামেরা প্রস্তুতকারী সংস্থা নিকন প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে আনে ১৯৮৬ সালে। এর অনেক পরেই ডিজিটাল ক্যামেরা ভারতে এসেছিল। ই-মেল প্রথম চালু হয় ১৯৯৫ সালে, কারণ ১৯৯৫ সালেই বিএসএনএল প্রথম দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করে।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোদী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রেমী হয়ে গিয়েছিলেন। মন কি বাতে একদিন বলে বসলেন, তিনি নাকি ছোটবেলায় ভোর সাড়ে পাঁচটায় রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতেন। প্রসঙ্গত, আকাশবাণী কলকাতার সম্প্রচার শুরু হয় ভোর ৫টা বেজে ৫০ মিনিটে। কলকাতা ক-এ রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠানের জন্য বাঁধা সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট। তার আগে ৬টা ১০ মিনিটে মূলত ভক্তিগীতির একটি অনুষ্ঠান থাকত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গিয়ে মোদী দাবি করলেন বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের জন্যে তিনি সত্যাগ্রহে যোগ দিয়ে কারাবাস করেছেন। কিন্তু জানা গিয়েছে সে সময় তেমন কোনও কর্মসূচিই হয়নি। মোদীর জেল খাটার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে করা আরটিআইয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানায় তাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।

তবে কি মোদীর জীবন নিয়েও কোথাও কোনও নির্ভরযোগ্য সত্য তথ্য নেই! কেবল দাবির পর দাবি করে চলেছেন মোদী, যার সিংহভাগই ভুয়ো। আজ অবধি মোদী সহপাঠি, অধ্যাপক শিক্ষকদের দেখা মেলে না! এগুলোই প্রমাণ করে সরকার চালানোর মতোই মিথ্যে গুল-গপ্পো দিয়ে নিজের জীবনের কাহিনী বুনছেন মোদী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #Narendra Modi's Birthday, #Fake Story

আরো দেখুন