হাতিয়ার জনসংযোগ, দুর্গাপুজোর পরেই নয়া কর্মসূচিতে নামছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব
দুর্গাপুজোর পরেই জনসংযোগে নামছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, নয়া কর্মসূচি নিতে চলেছে তৃণমূল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে সামনে রেখে, জেলায় জেলায় গিয়ে জনসংযোগ করবেন দলের শীর্ষ নেতারা। শোনা যাচ্ছে, নয়া কর্মসূচিকে সামনে রেখে রীতিমতো দলের নেতাদের জেলা সফরের রুটিন বেঁধে দিচ্ছে শাসকদল। খবর মিলছে, দলের রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের জেলায় জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর পর থেকে পালা করে করে, জেলায় জেলায় গিয়ে সভা,সমিতি, মিছিল-মিটিং সারবেন নেতারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনসংযোগকে হাতিয়ার করতে চায় জোড়াফুল শিবির। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেই নিদান দিয়েছিলেন। জনসংযোগে আরও জোর দিতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। প্রথামিকভাবে, দলের রাজ্যস্তরের নেতাদের পাঠানো হবে, তারপর জেলা নেতাদেরও এই জনসংযোগের কর্মসূচি করতে হবে। বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নয়, সামগ্রিকভাবে সাংগঠনিক এলাকা ধরে সেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নয়া কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে, পুজোর পর থেকেই জেলা সফরে বেরোবে রাজ্য নেতৃত্ব।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা আগস্ট মাস জুড়ে জেলাওয়াড়ি বৈঠক সেরেছেন। জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলের জেলাস্তরের নানা শাখার নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। ব্লকস্তরের কমিটিগুলোতে বহু নতুন মুখ এসেছে। নেতৃত্বে বদলের ফলে জনসংযোগে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত জয়ের জন্য প্রয়োজন জনসংযোগ। সেই কারণে রাজ্য নেতাদের কর্মসূচি দিয়ে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে।
যদিও তৃণমূল একে রুটিন প্রক্রিয়া বলেই দাবি করছে। তৃণমূলের সাফ কথা, যারা সারা বছর পড়াশোনা করে। পরীক্ষার আগে তাদের আলাদা করে পড়তে হয় না। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের নিবিড়ভাবেই সম্পৃক্ত রয়েছে। জনসংযোগ পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়া। যা চলছিলই। পুজোর পর আরেকটা পর্যায় হবে। বলাবাহুল্য, পঞ্চায়েতকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে জোড়াফুল ব্রিগেড।