গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রোখার ভার বাংলার কাঁধে চাপিয়েই দায়মুক্ত মোদী সরকার
বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বঞ্চনা অব্যাহত। গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন রুখতে মোদী সরকারের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার আবেদন খারিজ করেছে মোদী সরকার। সেই সঙ্গে চিঠি দিয়ে গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধের কাজের দায় বাংলার ঘাড়েই চাপিয়েছে মোদী সরকার। মোদী সরকারের এহেন আচরণে আবারও বঞ্চনার শিকার হতে হল বাংলাকে।
ক্রমেই মালদহ, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় নদী ভাঙন বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। মোদী সরকারকে পাঠানো চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনের দরুণ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত তা হয়ে চলেছে। হেক্টরের পর হেক্টর কৃষি জমি অচিরেই নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মার দুই তীর মিলিয়ে এই মুহূর্তে ৩৭টি জায়গায় ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা আশু প্রয়োজন। এই কাজে ৫৭১ কোটি টাকা দরকার।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজের দুই দিকে মোট ১২০ কিমি এলাকা ভাঙন প্রতিরোধে নিজেদের অধীনে নিয়েছিল তদানিন্তন কেন্দ্র সরকার। যদিও ২০১৭ সালে সেই নিয়ম পাল্টে ফেলা হয়। এখন ভাঙন রোধের পুরো দায়ই রাজ্যের কাঁধে চাপিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছে মোদী সরকার। অপরদিকে, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রাজ্যের একার পক্ষে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চালানো কার্যত অসম্ভব। সেই কারণেই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন মোদী সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে মোদী সরকার জানিয়েছে, ফরাক্কা ব্যারেজের উর্ধ্ব এবং নিম্নপ্রবাহের দু-দিকের ১৯ কিমি পর্যন্ত এলাকার ভাঙন রোধের কাজ করা তাদের দায়িত্ব। বাকি এলাকার কাজ বাংলা করতে হবেই বলে জানিয়েছে মোদী সরকার। চিঠিকে কেন্দ্র করে আবারও রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।