প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে কেন্দ্র, বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব রাজ্যের শাসক দলের
বাংলায় নির্বাচনে জয় না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। কার্যত স্বৈরাচারীর ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি রাজ্যের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের নিশানা করছে। এই মর্মেই বিধানসভায় (West Bengal Legislative Assembly) নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেছে রাজ্যের শাসক দল।
নিন্দা প্রস্তাবের খসড়ায় আারও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও তার শাসক দল বিজেপি (BJP) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়ী হতে না পেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে, অগণতান্ত্রিক কায়দায় স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে পশ্চিমবাংলায় নির্বাচিত সরকার ও রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি, সরকারি আধিকারিক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, দোকানদার, কৃষক, ছাত্র যুব-সহ সকল স্তরের শুভার্থীদের উপর বিভিন্ন কায়দায় একতরফা অত্যাচার করে যাচ্ছে।’
‘বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়ক এবং নেতৃবৃন্দ, যাঁদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, তাঁদের প্রতি নরম মনোভাব প্রদর্শন করছে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শাসক দলের জনপ্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দকে হয়রান ও গ্রেপ্তার করে রাজ্যে এক অস্থির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে।’ প্রসঙ্গত, সারদা ও নারদ-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তাঁকে কেন তলব করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এ নিয়ে বরাবর সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC)। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
সোমবার বিধানসভার ১৬৯ ধারা মোতাবেক ‘নিন্দা প্রস্তাব’ পেশ করেন রাজ্যের শাসকদলের দুই বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। উক্ত তদন্তকার্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে শুধুমাত্র রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক এবং নেতৃবৃন্দকে নিশানা করছে। এবং তদন্তপ্রক্রিয়া চালানোর নামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে।