রাম-বাম তত্ত্বকে জোরদার করে বামেদের ইনসাফ সভাকে সমর্থন বিজেপি বিধায়কের
ছিলেন কম্যুনিস্ট। সিপিআইএমের দু-দুবারের বিধায়ক। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভার সদস্যও। ২০১৯ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন সেই বঙ্কিম ঘোষ। ২০২১ সালে ফের বিধায়ক হয়েছেন গেরুয়া শিবিরের টিকিটে চাকদা থেকে জিতে। কিন্তু বাম মানসিকতা, লাল দুর্গের প্রতি দুর্বলতা এখনও যে মনে প্রাণে, এরকম আভাস পাওয়া গেল তাঁর বক্তব্যেই। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
ধর্মতলায় বামেদের ইনসাফ সমাবেশকে (Insaaf Sabha) আজ এই বিজেপি বিধায়ক লহলাকুলি সমর্থন করে বলেন, বাম হোক – ডান হোক সবাই মিলে তৃণমূল কংগ্রেসটাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হোক। মঙ্গলবার বিধানসভা চত্ত্বরে বামেদের (CPIM) সমর্থন করে বঙ্কিম ঘোষ (Bankim Chandra Ghosh) বলেন, ‘ওদের লড়াই ওরা করুক। ওদের লড়াই মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আমরা নীতিগত দিক থেকে সরাসরি সমর্থন না করলেও কমন ইস্যু তো এসে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। আমাদের লড়াই ওদের লড়াই অনেক সময় এক হয়ে যাচ্ছে। আনিসের বিষয়টা নিয়ে ওদের লড়াই ন্যায্য’।
মঙ্গলবার বাম ছাত্র যুবদের সংগঠন কলকাতার ধর্মতলায় আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর বিচারের দাবিতে ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছিল। সেই সমাবেশে ছিলেন রাজ্য সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukhopadhyay), নেতা সৃজন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
রাজ্য-রাজনীতিতে বাম-বিজেপির যোগসাজশ নিয়ে জল্পনা নতুন নয়। বলা হয়ে থাকে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাম ভোট ট্রান্সফার হয়েছিল বিজেপিতে, আর তাতেই নাকি ১৮টি আসন পায় গেরুয়া শিবির। আজকে বিজেপি (BJP) বিধায়কের বক্তব্য সেই পুরোনো জল্পনাই উস্কে দিলেন, মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।