রাজ্যের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে, নগরোন্নয়ন প্রকল্পগুলির দায় এড়াচ্ছে মোদী সরকার?
ধাপে ধাপে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিচ্ছে মোদী সরকার? ২০ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল মেয়র কনফারেন্সে মোদীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরই তুঙ্গে জল্পনা। কনফারেন্সে তিনি বলেন, এখন থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের উন্নয়নের জন্যে মোদী সরকারের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যগুলিকেই। বড় এবং পুরনো শহরের উপর থেকে চাপ কমাতে, বেশি করে স্যাটেলাইট টাউনশিপ গড়ার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ সমস্ত দায় রাজ্যগুলির ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন মোদী। মোদী সরকার করে দেবে, এমন ভাবনা থেকেও সরে আসতে বলা হয়েছে। এতে রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের তিক্ততা আরও বাড়তে পারে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের।
মোদীর বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি আগামীদিনে নগরোন্নয়নের মন্ত্রকের উপর থেকে দায়িত্ব কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে? প্রসঙ্গত, নগরোন্নয়নের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রকল্পগুলির জন্যে ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে ৭৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অটল মিশন, দীনদয়াল অন্ত্যোদয় প্রকল্প, জল জীবন প্রজেক্টে আরবান, লাইট হাউস প্রজেক্ট, টাউনস অফ এক্সপোর্ট এক্সেলেন্স ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সরকারি প্রকল্পের আওতায় নগরোন্নয়নের নানান কাজের পুরসভাগুলি অর্থ সাহায্য।
মেয়র ও ডেপুটি মেয়র কনফারেন্সে মোদী নগরোন্নয়ন প্রকল্পের বিকেন্দ্রীকরণের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, রাজ্যগুলিকে আগামী দিনে আরও অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে সরে আসবে মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে প্রকল্পের খরচ বিভাজিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, আবার কোনও ক্ষেত্রে অর্ধেক। সেখানে হঠাৎ করেই মোদী রাজ্যগুলির কাঁধে দায়িত্ব চাপাতে চাইছেন। তবে কি রাজ্যগুলিকেই নিজ দায়িত্বে নগরোন্নয়নের প্রকল্পগুলি চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে? উঠছে প্রশ্ন।