পুজোয় গায়িকা মমতার আত্মপ্রকাশ, ‘বাংলার গান, উৎসবের গান’ অ্যালবামে কণ্ঠদান মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি সকলের দিদি, হেলায় থামিয়ে দিতে পারেন শাহ-মোদীর রথ, সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনকে উপড়ে ফেলতেও সিদ্ধহস্ত তিনি।
রাজনীতির মাঠে তিনি অগ্নিকন্যা! আজও স্ট্রিট ফাইটার। বাঙালির মমতা। দল-প্রশাসন চালানোর ফাঁকে হাতে তুলে নেন, তুলি আবার কখনও কলম। কখনও রেঙে ওঠে ক্যানভাস আবার কখনও লেখেন কবিতা-ছড়া। আবার লিখে ফেলেন গানও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটা গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কোনওটাতে মিলেছে গোল্ডেন ডিস্ক, প্ল্যাটিনাম ডিস্কের শিরোপা। তবে এবারের পুজোয় কেবল লিখে আর সুর করে নয়, গানে কণ্ঠও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলার গান, উৎসবের গান’ নামের পুজো অ্যালবামে তিনি কণ্ঠ দান করেছেন, অ্যালবামটির আটটি গানই তাঁর লেখা এবং সুর করা।
মহালয়ার দিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশের মঞ্চেই মুক্তি পাবে সেই অ্যালবাম। সেই সঙ্গেই গায়িকা মমতার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে মন্ত্রিসভার সহকর্মী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অ্যালবামে ‘পুজো এল, পুজো এল, উৎসবের ধূম… ঢাক বাজে, মাদল বাজে, ধামসা বাজে রে…’ গানটি গেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইন্দ্রনীল সেনও গলা মিলিয়েছেন।
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আরও কয়েকজন খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘আকাশ যেখানে নীলিমায় নীল…’ এবং ‘ধ্রুবতারা তুমি কেন হলে না…’-এর মতো আরও বেশ কয়েকটি গান লিখেছেন মমতা। এরপরেই প্রকাশ্যে আসবে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো সুরুচি সংঘের জন্য মমতার লেখা থিম সং। সঙ্গীত প্রেমীরা এখন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন।