দেশে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে পারছে না মোদী সরকার, স্পষ্ট এডিবির রিপোর্টে
মোদী সরকারের সদর্পে প্রচার চালাচ্ছিল যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে, কিন্তু সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিল বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) রিপোর্ট। বুধবার প্রকাশিত সেই রিপোর্ট বলছে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধিহার কমতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি আর্থিক বছরের শুরুতে, গত এপ্রিল মাসে, এই এডিবিই জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধিহার হবে ৭.৫ শতাংশ। কিন্তু সেপ্টেম্বরে, এই আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমাপ্ত হওয়ার মুখেই তারা সেই দাবি থেকে পিছিয়ে এল । এডিবি এবার জানিয়েছে, খুব ভালো হলে ৭ শতাংশ হতে চলেছে জিডিপি বৃদ্ধিহার। মূল্যবৃদ্ধিকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এডিবি। এবং স্বভাবতই এই ব্যাপারটা মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
এডিবি রিপোর্টে এত স্পষ্ট যে ভারত মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে পারছে না। দেশে হয় বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ছে না হলে লগ্নি কম হচ্ছে, পরিকাঠামো ও শিল্প উৎপাদনের হারও আশাব্যঞ্জক নয়, দাবি এডিবির। এই ফ্যাক্টরগুলি হল অর্থনীতির বৃদ্ধিহার শ্লথ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির রাশ টানতে না পারা তার থেকেও বড় বিষয়। নিত্যপণ্যের দাম লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী। পেট্রপণ্যের দর কমছে না। ফলে আশানুরূপ নয় বাজারে টাকার লেনদেন। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের উপর যে হঠাৎ জিএসটি বাড়িয়ে দিয়েছে, তার সমালোচনা করেছে এডিবি। বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের আঁচ বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে, মনে করছে তারা।
এডিবির পূর্বাভাস, মূল্যবৃদ্ধির হার এই আর্থিক বছরের শেষে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা অর্থমন্ত্রকের দাবি বেছে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নেমে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।