ঘৃণা-ভাষণ: কেন কেন্দ্র ব্যবস্থা নিচ্ছে না এর বিরুদ্ধে, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
টিভি চ্যানেলে যে সব বিতর্কসভা সম্প্রচারিত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাঝে মাঝে চলে আসে ঘৃণা-ভাষণ। তা যাতে না হয় সেই নিয়ে এবার অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের সুপ্রিম কোর্টের। এছাড়াও দেশের শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, কেন সরকার এই সব বিষয়ে নীরব দর্শক হয়ে আছে।
মূলধারার সংবাদ মাধ্যম আর সোস্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ভাষণ এখন নিয়ন্ত্রণ করা অসাধ্য হয়ে উঠেছে, উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের ওই পর্যবেক্ষণে। গত বছরেই ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ বুধবার বলেন, ভারতের মুক্তচিন্তার ধরণ কখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত নয়। আবার একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে কোথাও একটা লক্ষণরেখা টানতে হবে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খুব গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করেন তিনি।
বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ঘৃণা ভাষণের একটি বৈশিষ্ট্য হল এর অনেকগুলি স্তর থাকে। খানিকটা আস্তে আস্তে মানুষকে খুন করার মত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ধরণের সমস্যা মেটানোর জন্য বিচারব্যবস্থাকে যদি কোনও পদক্ষেপ করতে হয় তাহলে ওই উদ্যোগকে সহায়তা করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের ।