মাথাপিছু ঋণ নেওয়ার নিরিখে দেশের শীর্ষে বাংলা, বলছে অ্যামফিনের রিপোর্ট
মাথাপিছু ঋণের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলা। ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় ও স্বনিয়ন্ত্রিত সংগঠন মাইক্রোফিনান্স ইনস্টিটিউশনস নেটওয়ার্ক, অ্যামফিনের রিপোর্ট এমনটাই জানাচ্ছে। বাংলায় মাথাপিছু গড়ে ৫০ হাজার ৩৩৬ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। যদিও অন্য কোনও রাজ্য, বাংলার অঙ্কের ধারেকাছে নেই। দ্বিতীয় স্থানে কেরল,তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। অ্যামফিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত দেশের ছয় কোটি মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় মোট ২ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ৩৮.৪ শতাংশ মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন। বাকি ঋণ ক্ষুদ্র ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে এসেছে।
অল্প অঙ্কের ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার প্রবণতায় দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম কোয়াটারে অর্থাৎ জুন অবধি প্রকাশিত রিপোর্টে সামনে এসেছে এই তথ্য। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থ বছরেও তৃতীয় স্থান দখলে রেখেছিল বাংলা। ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় ও স্বনিয়ন্ত্রিত সংগঠন মাইক্রোফিনান্স ইনস্টিটিউশনস নেটওয়ার্ক, অ্যামফিন সম্প্রতি ক্ষুদ্র ঋণের নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোট ঋণ প্রদানের তালিকায় দেশে প্রথমে রয়েছে তামিলনাড়ু। দ্বিতীয় স্থানে বিহার। তারপরেই রয়েছে বাংলা, রাজ্যে মোট ঋণের পরিমাণ ৩৩ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। জন প্রতি ঋণের নিরিখে এবারেও সেরার স্থান নিজের দখলে রেখেছে বাংলা। ঘরোয়া ব্যবসার ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার প্রবণতায় মহিলারা এগিয়ে থাকেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও রাজ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বেশি পৌঁছনো মানে সেই রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার। গ্রামের মানুষের হাতে টাকা আসাই অর্থনীতির সুষ্ঠু অগ্রগতির লক্ষণ। সমীক্ষায় পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, বাংলার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের হাতে সর্বাধিক ঋণ পৌঁছেছে। সেই কারণেই আর্থিক ক্ষেত্রে দেশকে দিশা দেখাচ্ছে বাংলা। অ্যামফিনের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় গত আর্থিক বছরে বাংলায় ঋণ সংক্রান্ত অ্যাকাউন্ট বেড়েছিল ৪.৪ শতাংশ হারে। পরপর দু-বার করোনার ঢেউ সামলেও ক্ষুদ্র ঋণের বাজার ছিল চাঙ্গা। পরিসংখ্যান বলছে, এই ঘটনাই বাংলার অর্থনীতিকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে গিয়েছে।