চাষের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে ধানের সহায়ক মূল্য বাড়াল রাজ্য
আবারও বিপদের সময় চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের যেমন দাম বেড়েছে, তেমনি কীটনাশক-সহ চাষের প্রতিটি সামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চাষের খরচ অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই রাজ্য সরকার এই অবস্থায় চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধানের দাম কুন্টাল প্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়েছে। আগে চাষিরা কুন্টাল প্রতি ধানের দাম পেতেন ১৯৪০টা এবার আগামী মরশুমে ক্যাম্পগুলিতে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল পিছু ২০৪০টাকা করে পাবেন।
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এবছর দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ধানের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির অভাবে বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলার বহু জমিতে ধান চাষ হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ভালো হয়েছে। সেখানে ভালো ফলন হবে বলেই আশা করা যায়। এবছর চাষে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাই চাষিরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তারজন্য ধান কেনার টার্গেট খুব বেশি কমানো হয়নি। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, চাষিদের সুবিধার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে ৩৪ লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনা হবে। এছাড়া ডব্লুবিইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড, নাফেডের মতো সংস্থাগুলিও প্রতিটি জেলায় ক্যাম্প করবে। এছাড়াও চাষিদের সুবিধার জন্য মোবাইল ভ্যানে করে ধান কিনবে সরকার। ডব্লুবিইসিএসসি ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাষিদের কাছে থেকে কিনবে। বেনফেড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, কনফেড ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান কিনবে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রাজ্যে ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকার কিনবে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান কেনা হবে। এছাড়া হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতেও অনেক বেশি ধান কেনা হবে।