জিআই তকমার নিরিখে দেশের শীর্ষস্থান দখল করতে চলেছে বাংলা
জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত জিনিসের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করতে চলেছে বাংলা (West Bengal)। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই এই অনন্য নজির গড়বে বাংলা। এই মুহূর্তে বাংলায় জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা ২২টি। আরও ৬০টি পণ্য রয়েছে জিআই স্বীকৃতির দৌড়ে। রাজ্যের তরফে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলার আরও ৩০টি পণ্য জিআই তকমা পাবে। সেক্ষেত্রে, জিআই ট্যাগের নিরিখে বাংলাই দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করবে।
বর্তমানে জিআই (GI Tag) প্রাপ্তির নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। কর্ণাটকের (Karnataka) ঝুলিতে জিআই প্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৩৯টি। ৩০টি জিআই যুক্ত পণ্য নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশ। বাংলার জিআই প্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেলে, বাংলা দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলায় নিজস্ব পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, কুটির শিল্প সামগ্রীর বিশ্বায়নকে পাখির চোখ করেছেন। তৃণমূল আমলে এখনও পর্যন্ত ১৫টি পণ্য জিআই তকমা পেয়েছে। রাজ্যের তরফে টাঙ্গাইল শাড়ি, গরদের শাড়ি, সুন্দরবনের মধু, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ও সরপুরিয়া, মালদহ সিল্ক ইত্যাদির জন্যে জিআই তকমা চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পণ্যের জিআইয়ের দাবিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরকে আবেদন করতে হয়। কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন কন্ট্রোলার জেনারেল অব পেটেন্ট, ডিজাইন, কপিরাইট আবেদন খতিয়ে দেখে স্বীকৃতি প্রদান করে।
বাংলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের যুগ্মসচিব সুদীপ্ত পোড়েলের কথায়, বাংলা ইতিমধ্যেই ২২টি দ্রব্যের জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। আরও ৬০টি দ্রব্যের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকমাসে মধ্যেই আবেদন অনুযায়ী অধিকাংশ পণ্য জিআই পাবে বলে রাজ্য আশাবাদী।