দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

তাজপুরে গড়ে উঠছে গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছে স্থানীয়রা

September 27, 2022 | 2 min read

পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গড়ে উঠতে চলেছে গভীর সমুদ্র বন্দর। নির্মাণ কাজের বরাত পেয়েছে আদানি শিল্প গোষ্ঠী। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকতের কাছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী সাইট অফিস খোলা হয়েছে। যদিও কোন জায়গায় বন্দর গড়ে উঠতে চলেছে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তাজপুর ও সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ কিন্তু জমি হারানো নিয়ে ততটা শঙ্কিত নন। তারা কর্মসংস্থান (Employment) ও আর্থিক উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কর্মসংস্থানের স্বার্থেই দ্রুত বন্দর তৈরি হওয়া প্রয়োজন, এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষেরা।

মনে করা হচ্ছে, সৈকত সংলগ্ন এলাকায় বন্দর (Tajpur Port) তৈরির জন্যে বেশি জমির প্রয়োজন পড়বে না। জানা গিয়েছে, সমুদ্রেই ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চ্যানেল তৈরি করা হবে, সেই চ্যানেলেই ভিড়বে জাহাজ। সেখানে থেকে জিনিসপত্র রেললাইন ও সড়ক বন্দরের কাছে নিয়ে আসার জন্যে আরও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আরও কিছু জমির প্রয়োজন। তমলুক-দীঘা রেলপথের রামনগর স্টেশন থেকে প্রস্তাবিত বন্দরের দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। নন্দকুমার থেকে দীঘা হয়ে ওড়িশার চন্দনেশ্বরগামী জাতীয় সড়ক থেকে বন্দরের জায়গার দূরত্ব হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার।

ইতিমধ্যে রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমুদ্র সংলগ্ন মন্দারমণি ও কাঁথির মধ্যে অবস্থিত দাদনপাত্রবাড়ে সরকারের অধীনে থাকা প্রায় এক হাজার একর জমি বন্দরের কাজে ব্যবহার করা হবে। ওই জমিতে বাম সরকারের আমলে একাধিক প্রকল্প করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বাস্তবায়িত হয়নি একটিও। অন্যদিকে, পুরুষোত্তমপুর মৌজায় সরকারের অধীনে প্রায় ৫০০ একর জমি রয়েছে। মেরিন ড্রাইভের জন্যে মন্দারমণি ও তাজপুরকে সংযুক্ত করতে কেন্দুমারি খালের উপরে জলকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, জলকা সেতু থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এলাকায় কোনও একটি জায়গায় বন্দরটি গড়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#employment, #Tajpur Port

আরো দেখুন