তুঙ্গে পুজোর উত্তেজনা, কেনাকাটা করতে করতে প্যান্ডেল হপিং সারছে আম বাঙালি
তুঙ্গে পুজোর উত্তেজনা। একদিকে এখনও কেউ কেউ কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাইক বাজতে শুরু করেছে পাড়ায় পাড়ায়। কেউ কেউ কেনাকাটা সারতে সারতে ঠাকুর দেখে নিচ্ছেন, একাধিক পুজোর ইতিমধ্যেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। দর্শকদের জন্যেও খুলে দেওয়া হয়েছে মণ্ডপ। ভিড়ের আগেভাগে ঠাকুর দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় কেউ। অফিস ফেরত নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে, শপিং ফিরতি গৃহিনীরা; সকলেই আর সময় ফেলে রাখতে চাইছেন না। দু-বছরের করোনাকাল কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরছে বাঙালির দুর্গাপুজো। সঙ্গে বাড়তি উন্মাদনা হিসেবে রয়েছে দুর্গাপুজোর বিশ্বজনীন স্বীকৃতি।
উৎসবমুখর কলকাতার সর্বত্রই একই ছবি। হাতিবাগান থেকে গড়িয়াগাট, টালা থেকে টালিগঞ্জ, পুজোর শপিংয়ের ফাঁকে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন মণ্ডপে মণ্ডপে। গড়িয়াহাটে শপিংয়ে গিয়ে লোকজন দেখে নিচ্ছেন সিংহি পার্ক, একডালিয়ায়। অন্যদিকে, হাতিবাগান, শ্যামবাজারে কেনাকাটা সারতে গিয়ে অনেকেই উত্তরের বিখ্যাত পুজোগুলি দেখে নিচ্ছেন। এক কথায়, এবারের পুজোয় জমজমাট কলকাতার উৎসব অঙ্গন। হাতিবাগান সর্বজনীনের মণ্ডপেও উপচে পড়েছে ভিড়। হাতে কেনাকাটার ব্যাগ নিয়েই, হাতিবাগান সর্বজনীন থেকে কাশী বোস লেন সর্বত্র ছবিটা একই। কলেজ স্কোয়ারেও মানুষের ঢল নেমেছে, দেদার ছবি ও সেলফি উঠছে। মণ্ডপ তৈরি না হতেই ভিড়ের ঢল নেমেছে সেখানে।
বাংলার দুর্গাপুজো এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা পেয়েছে এই উৎসব। আবেগ-উচ্ছ্বাসে ভেসে মণ্ডপমুখী হচ্ছে আম বাঙালি। অসুর বৃষ্টি চোখ রাঙানির আগে ভাগে ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোর মতো প্যান্ডেল হপিং সেরে ফেলতে চাইছেন সকলেই।