আহিরীটোলা, কুমোরটুলি, হাতিবাগান, উত্তরের তিন সেরা পুজো চমক দিচ্ছে থিমে
দুর্গাপুজোয় উত্তর কলকাতার পুজোর সেরা তিন স্তম্ভ হল আহিরীটোলা, কুমোরটুলি, হাতিবাগান(Hatibagan)। এই তিনটি পুজোই শতবর্ষের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ বছর ৯২ বছরে পা দিল কুমোরটুলি সর্বজনীন দুর্গোৎসব। ঐতিহ্যবাহী এই তিন পুজোর আকর্ষণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। আহিরীটোলার এবারের থিম পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া বাংলা গান। সেই স্বর্ণযুগের গানগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন তারা। হাতিবাগানের (Hati Bagan) থিম বাংলার পটচিত্র। কুমোরটুলি থিমের নাম ‘শিরোনাম’। তিন পুজোকে কেন্দ্র করেই তুঙ্গে মানুষের উতসাহ-আগ্রহ। প্রথম থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে মণ্ডপ চত্বরে।
আহিরীটোলার (Ahiritola) পুজো আয়োজকদের বক্তব্য, বাঙালির অস্তিত্বের অনন্য দলিল হল বাংলা গানের ইতিহাস। লুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রামোফোন, রেডিও, টেপ রেকর্ডারকে ফিরিয়ে আনলেন তারা। বিশাল আকারের গ্রামোফোন, রেকর্ড, টেপ রেকর্ডার দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। তাঁদের থিমের নাম পুরনো দিনের গান আজও ভরে মন প্রাণ।
কুমোরটুলির থিম শিরোনাম, বড় কুমোরপাড়ার ঠিক বাইরে এই পুজো হয়। মণ্ডপে উঠে এসেছে নাম মাহাত্ম্য। প্রতিমা এবং মণ্ডপ শিল্পীদের স্বীকৃতি দিতেই সকলের নাম ব্যবহার করছে কুমোরটুলি। শিল্পীদের সম্মান জানাতেই শিল্পীদের নাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজোর থিম। ১৯৩১ সালে কুমোরটুলির পুজো শুরু হয়েছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে সেই সময়ের বহু বিখ্যাত মানুষজন এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পালের হাত ধরে কুমোরটুলিতেই প্রথম একচালা ছেড়ে দুর্গা পরিবারের আলাদা আলাদা প্রতিমা তৈরি হয়েছিল।
হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপে উঠে এসেছে বাংলার পটচিত্র। থিমের নাম চিত্রপট। প্রতিমা গড়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী সনাতন দিন্দা। খান্না মোড় এবং হাতিবাগান জংশনের সংযোগকারী রাস্তার উপর হয় হাতিবাগান। বাংলার পট, সরাচিত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। সরা, লক্ষ্মীর পট ব্যবহার করা হয়েছে মণ্ডপে। প্রসঙ্গত, ভবানীপুর ৭৫ পল্লির মণ্ডপও পটচিত্র দিয়ে সেজে উঠেছে। শিল্পী প্রশান্ত পাল গড়েছেন মণ্ডপ।