পঞ্চায়েত দপ্তরের সৌজন্যে ষষ্টী থেকে দশমী অনলাইনেই মিলবে ইলিশ পাতুরি থেকে কচি পাঁঠার মাংস
চতুর্থী থেকেই রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। করোনার দু’বছর ঘরবন্দি থাকার পর এবার পুজোয় মানুষ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। যদিও ষষ্ঠী থেকে ছুটি শুরু হবে। ফলে এই পাঁচ দিন কেবল প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন, আড্ডা সঙ্গে ভুড়িভোজ।
এই কদিন ভোজনরসিক বাঙালি যাতে হেঁশেলের ঝক্কি না সামলেই মনপসন্দ সব পদ দিয়ে ভোজ সারতে পারেন, তার ব্যবস্থা করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। পুজোর পাঁচ দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী অনলাইনে অর্ডার করলেই মিলবে হরেক রকমের সুস্বাদু খাবার। পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর ‘মৃত্তিকা’ এই আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে খাবারের অর্ডার দিলেই নির্দিষ্ট দামে মিলবে সুস্বাদু খাবার।
ষষ্ঠীর মেনুতে থাকছে, স্বর্ণচূড়া চালের ভাত, সোনামুখ ডাল, চিংড়ি দিয়ে আলু-কপির ডালনা, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, বনমুরগির ঝোল, চাটনি ও মিষ্টি।
সপ্তমীর দিনে খাদ্যতালিকায় থাকছে, স্বর্ণচূড়া চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ফিশ ওরলি, চিতল কালিয়া, ইলিশ মাছের পাতুরি, চাটনি ও মিষ্টি।
অষ্টমীর দিন থাকছে নিরামিষ। খিচুড়ি, লাবড়া তরকারি, বেগুনি, বাসন্তী পোলাও, ছানা দিয়ে পটলের দোরমা, ছানার কোপ্তা, চাটনি ও মিষ্টি।
নবমীর দিনে থাকছে বাসমতী চালের ভাত, গাওয়া ঘি, শুক্তো, ভেটকি মাছের পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি ও মিষ্টি।
দশমীর দিনে খাদ্যতালিকায় রাখা হয়েছে সাদা পোলাও, নবরত্ন কোরমা ও ঝুরঝুরে আলুভাজা। এ ছাড়াও বিজয়ার দিনের মিষ্টিমুখ করাতে খাদ্যতালিকায় এক ঝাঁক মিষ্টির সমাহার রাখা হয়েছে। রানাঘাটের পান্তুয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কালনার রসগোল্লা, নদীয়ার নিকুতি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বালুশাই ও পায়েস।
মুলত কলতাকা পুরসভা এলাকার সঙ্গে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম ও বরাহনগর পুরসভা এলাকায় এই পরিষেবা মিলবে। আগের দিন রাত আটটার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার করতে হবে। তবে কেবলমাত্র দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রেই এই পরিষেবা মিলবে।