অষ্টমীর অঞ্জলিতে মেয়েদের শাড়ির সাথে পাল্লা দিচ্ছে ছেলেদের এই ফ্যাশন
দুর্গা পুজোয় অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়া এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অঞ্জলিতে মেয়েদের শাড়ি ট্রেন্ডিং এ থাকলেও এবার ফ্যাশনে কিন্তু ধুতি ইন। তাই জেনে নেয়া যাক অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতে কোন ধরণের ধুতি আপনার জন্য হবে বেস্ট। ধুতি বাঙালিদের এক ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর দুর্গা পুজোয় বাঙ্গালীরা ধুতি পড়ে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবে না তা হয় না।
তসরের গোল্ড-টোন্ড ধুতি এবার ফ্যাশানে ইন। এই ধুতির কুঁচি তে গোল্ডেন টাচ-আপ করা জরির কাজ করা আছে এবং দেখতেও অসাধারণ। দামও অতিরিক্ত নয়, ১০০০ এর মধ্যেই। মেটেরিয়ালও যথেষ্ট আরামদায়ক তাই এই গোল্ড-টোন্ড ধুতি পড়লে আপনি এই গরমেও ক্যারি করতে পারবেন। এই ধরণের ধুতি মার্কেটে নর্মাল কুঞ্চী করা অবস্থায় এবং পায়জামার ধরনেও পাওয়া যাচ্ছে। কালো সিল্ক ধুতিও এবার রয়েছে ফ্যাশনে। কালো রঙ অনেকেরই খুব পছন্দের। আর এই ধরণের কালো সিল্ক ধুতি পুজোয় পরলে লোকের নজর কাড়বেই। সোনালী রঙের জরির কাজ করা রয়েছে এই ধুতির পাড়ে এবং কুঁচিতে সোনালী রঙের পাড়ের মাঝে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট পুঁথির ডিজাইন। এই ধরণের ধুতি মার্কেটে নর্মাল কুঁচি করা অবস্থায় এবং পাজামা ধরনেও পাওয়া যাচ্ছে।
ধুতিতে নকশার কাজ ভরা প্রিন্টেড সিল্কের এবং সুতির কাপড়ের ধুতির এবার রয়েছে যথেষ্ঠ চাহিদা। ট্রাডিশনাল ধুতির থেকে এই ধরণের ধুতির কাজে পার্থক্য রয়েছে অনেকটাই। ফ্লোরাল, ওরলি, অ্যাবস্ট্রাক্ট, চেক্স, স্ক্রিপ্ট প্রিন্ট এবং আরও নানান ধরনের ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে প্রিন্টেড ধুতি। পুরো বডিতে ডিজাইন করা থাকছে এবং বাই-কালারেও প্রিন্টেড ধুতি পাওয়া যাচ্ছে। এই ধরণের ধুতি মার্কেটে নর্মাল কুঁচি করা অবস্থায় এবং পায়জামার ধরনেও পাওয়া যাচ্ছে।
এবার পুজোর বাজারে হাতে বোনা শান্তিপুরী ধুতির চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে রঙিন ধুতির ডিম্যান্ড রয়েছে বাজারে আর দামও খুব বেশি নয়। শান্তিপুরী ধুতির দাম মার্কেট-এ ১০০০ এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন। শান্তিপুরী শাড়ির ধাঁচেই এই শান্তিপুরী ধুতি মিহি সুতোয় বোনা হয়। সুতোর কাজে মোড়া এই ধুতি দেখতেও অসাধারণ আর যথেষ্ট কম্ফোর্টেবল। এই ধরণের ধুতি মার্কেটে নর্মাল কুঁচি করা অবস্থায় এবং পাজামার ধরনেও পাওয়া যাচ্ছে। পুজোর শপিং এখন প্রায় শেষের দিকে তাই আর দেরি না করে পছন্দসই একটা ধুতি নিয়ে আসুন এবার দুর্গা পুজো উপলক্ষে আর তাড়াতাড়ি প্ল্যান করে ফেলুন এই পুজোয় আপনার ধুতির খুটিনাটি।