দুর্গা পুজোয় রেকর্ড আয় রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের
গত দু’বছর করোনার কারণে দুর্গা পুজোয় আনন্দ করতে পারেনি বাঙালি। উৎসবের মরসুমে তাদের কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি বদলেছে। তাই ফের বাঙালি দলে দলে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জিমিয়েছে। মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত তিলোত্তমা ভেসেছিল আট থেকে আশির কোলাহলে।
এর ফলে রেকর্ড আয় হয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের। বাস, ভেসেল পরিষেবা থেকে পরিবহণ দপ্তরের আয় হল ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকারও বেশি। এবার প্রথম থেকেই অনুমান করা হয়েছিল বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হবে পুজো মণ্ডপগুলিতে। রাতভর মানুষের ভিড় ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে। নির্বিঘ্নে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার জন্য পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে রাতভর বাস পরিষেবা সচল রাখা হয়েছিল। পরিবহণ দপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনুমানিক ৭৭৫টি বাস চলেছে প্রতিদিন। দুর্গাপুজোয় বাস চালিয়ে পরিবহণ দপ্তরের আয় হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৪৫ টাকা। এছাড়াও পুজো পরিক্রমা প্যাকেজ করা হয়েছিল কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সেখান থেকে দপ্তরের আয় হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা। স্পেশাল নাইট সার্ভিস বাস পরিষেবার সঙ্গে দুর্গাপুজোর পর্বে সচল ছিল ভেসেল পরিষেবাও। সেখান থেকে পরিবহণ দপ্তরের আয় হয়েছে ২৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে যাত্রী পরিষেবা বাবদ পরিবহণ দপ্তরের হাতে এসেছে ২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৭০ টাকা। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, দুর্গাপুজোর মরশুমে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের সুবিধা করে দেওয়া। আগামী উৎসবগুলিতে পরিবহণ দপ্তর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
কালীপুজোতেও মানুষের সুবিধার্থে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। যাতে কালীপুজো এবং দীপাবলির দিনগুলিতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।