বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

১৯৭১-এ নোবেলের দৌড়ে ছিলেন তারাশঙ্কর, পাঁচ দশক পর প্রকাশ্যে এল তথ্য

October 9, 2022 | < 1 min read

নোবেল সপ্তাহ চলছে। চলছে একে একে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণার পালা। বাংলাকে সাহিত্যে নোবেল এনে দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এবার সামনে এল আরেক চমকপ্রদ তথ্য। নোবেল পুরস্কারের (Nobel Prize 2022) জন্যে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাংলার আরও এক সাহিত্যিক। ১৯৭১ সালে পাবলো নেরুদা সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন। সে বছর অন্যদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Tarasankar Bandyopadhyay)।

সদ্যই সে বছরের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। ৫০ বছর আগের সেই তালিকা উৎসবের মরশুমে বাঙালিদের গর্বের কারণ হয়ে উঠেছে। নোবেল কমিটি কেবল বিজয়ীদের নামই ঘোষণা করে। তারা পঞ্চাশ বছরে আগের মনোনয়ন তালিকার আর্কাইভ খুলে দিতেই এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ১৯৭১ সালে তারাশংকরের মনোনীত হওয়ার খবর ফের একবার নতুন করে গর্বিত বাংলা। নেট দুনিয়াই রীতিমতো প্লাবন চলছে। বাঙালি জনমানসে এই খবর আনন্দের সঞ্চার করেছে। তবে অপ্রাপ্তির আক্ষেপও রয়েছে।

জানা যাচ্ছে, তারাশঙ্করের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ কৃপালনি। ওই বছরেরই ১৪ সেপ্টেম্বর তারাশংকরের মৃত্যু হয়। ফলে নোবেলের নিয়মানুসারে প্রতিযোগিতা থেকে তাঁর নাম সরে যায়। তারাশঙ্কর, নেরুদা ছাড়াও সেবার সাহিত্যের নোবেলের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন গুন্টার গ্রাস, বোর্হেস, আর্থার মিলারের মতো সাহিত্যিকরা।

১৮৮৮ সালের বীরভূমের লাভপুরে জন্ম হয়েছিল তারাশঙ্করের। রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠের মতো পুরস্কারের ভূষিত হয়েছে, পেয়েছেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ। তাঁর অসামান্য সৃষ্টির মধ্যে গণদেবতা, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, আরোগ্য নিকেতনের নাম করতেই হয়। লেখক জীবনে ৬৫টি উপন্যাস লিখেছেন তারাশঙ্কর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Tarasankar Bandyopadhyay, #Nobel prize 2022

আরো দেখুন