দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে হাত, মাথা কেটে নেওয়ার নিদান হিন্দুত্ববাদী নেতাদের
মোদী আমলে ভারত বিদ্বেষমূলক ভাষণের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্রকাশ্যে ঘৃণ্য ও বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেওয়া নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে। আবারও প্রকাশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির বুকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক জনসভায় বক্তা নিদান দিচ্ছেন, প্রয়োজন পড়লে ওদের হাত কেটে ফেলুন, ধর থেকে মাথা আলাদা করে দিন। বেছে বেছে মারুন। আরেক মহান্ত জনতাকে নির্দেশ দিচ্ছেন সঙ্গে বন্দুক রাখুন। লাইসেন্সসহ হোক বা লাইসেন্স না থাকুক, বন্দুক রাখুন সঙ্গে। এমন বক্তব্যের কারণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বলাবাহুল্য, কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্যে করেই প্ররোচনামূলক ভাষণের অভিযোগ উঠছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) জনসভায় ভিড়কে উদ্দেশ্যে করে জগৎগুরু যোগেশ্বর আচার্যের নিদান ছিল, আপনাদের উপর যারা হামলা চালাতে পারে, তাদের হাত কেটে নিন, মাথা কেটে নিন। জেল হলে হবে। ওদের বেছে বেছে হত্যা করতে হবে। ওদের শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। অন্যদিকে ভাষণ দিতে উঠে মহান্ত নওয়াল কিশোর দাস বলেন, লাইসেন্স থাকুক চাই না থাকুক, বন্দুক সঙ্গে রাখতেই হবে। জনসভায় আগতদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বন্দুক জোগাড় করুন। লাইসেন্স না থাকলেও কিছু এসে যায় না। আপনাকে যারা হত্যা করতে আসবে তারা কি লাইসেন্স থাকা বন্দুক নিয়ে আসবে? তাহলে আপনার বন্দুকের লাইসেন্সের কী দরকার?
এইভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের প্রকাশ্য প্ররোচনামূলক ভাষণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অস্বস্তি এড়াতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার দাবি, জেহাদি জঙ্গিদের উদ্দেশ্যেই নাকি এমন কথা বলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা।