কালীপুজোয় বাজি নিয়ে কড়া নির্দেশ হাই কোর্টের
দীপাবলি ও ছট পুজোর আগে বাজি পোড়ানো নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বাজি মামলার শুনানিতে জানায়, কলকাতার বাজি বাজারে যাতে শুধু ‘সবুজ’ বাজি বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ কার্যকর হল কি না, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। ছুটির পর আদালত খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজো। বাজির মরশুম। প্রতিবছরই এসময় পরিবেশ দূষণ রুখতে সবুজ বাজি পোড়ানোর দাবিতে আদালতে মামলা হয়। এবারও অন্যথা হয়নি। হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানি ছিল।
কী ধরনের বাজি ব্যবহার হবে, এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এদিনের শুনানিতে জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বাজি বাজারে ‘সবুজ’ বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। সেই জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা ন্যাশনাল এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইস্টিটিউট (নিরি) এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন (পেসো) নজরদারি চালাবে।
শুধু তাই নয়, ছুটির পর আদালত খোলার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বলা হয়েছে, দীপাবলি রাতে যে বাজিগুলো পোড়ানো হবে তা কতটা পরিবেশবান্ধব বা বাজি ব্যবসায়ীরা যে বাজি বিক্রি করবেন সেটাও কতটা পরিবেশবান্ধব তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার শুধুমাত্র রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই করবে না। তাদের সঙ্গে করবে কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা।