#MeToo বিতর্কে সাজিদ একা নন, অভিযোগ উঠেছে সুহেল, আকবরদের বিরুদ্ধেও
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ। ২০১৮ সালে #MeToo আন্দোলন চলাকালীন প্রায় ১০ জন মহিলা অভিনেত্রী সাজিদ খানের (Sajid Khan) বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ করেছিল। পরিচালক সাজিদ চলচ্চিত্রের জন্যে অভিনেত্রীদের অডিশন নিতেন, সেখানেই সাজিদের হাতে তারা নিগ্রহ তথা হেনস্থার শিকার হতেন। সালোনি চোপড়া, জিয়া খান, অহনা কুম্রা, সীমরণ সুরি, মন্দনা করিমী, রাচেল হোয়াট, শার্লিন চোপড়া, ডিম্পল পল, করিশ্মা উপাধ্যায় প্রমুখেরা সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাউসফুল4-এর অভিনেত্রী নির্বাচনের সময় তিনি এক সতেরো বছর বয়সী মেয়েকে নগ্ন হতে বলেন। তবেই নাকি কাজ মিলবে!
এই ধরণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাকফুটে চলে যায় সাজিদের ক্যারিয়ার। নিজেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে সাজিদ যোগ দিচ্ছেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো বিগ বসের ১৬তম সংস্করণে। এই খবর সামনে আসতেই সরব মহিলা কমিশন। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল স্পষ্ট অভিযোগ করছেন, যার বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন নিগ্রহ করার এমন অভিযোগ রয়েছে, সে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে কীভাবে বিগ বসের মতো শোতে তথা ন্যাশনাল টেলিভিশনে মুখ দেখাতে পারেন। তিনি অবিলম্বে সাজিদ খানকে বিগ বস শো থেকে অপসারিত করার দাবি জানান। যদিও স্বাতীর অভিযোগ এর পরেই তিনি হুমকি পেয়েছেন, সাজিদ বিগ বস থেকে নাকি তাকে ধর্ষণ করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাতী দিল্লি পুলিশের দরস্থ হয়েছেন।
ব্যবসায়ী, সোশ্যালাইট এবং কলামনিস্ট সুহেল শেঠ (suhel seth) খুব পরিচিত মুখ। #MeToo বিতর্ক উঠতেই তাঁর নাম অভিযোগ জানান প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী ডায়ান্দ্রা সোরেস। সুহেল নাকি তাঁকে জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়াও আরো ৩ মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এর পর পরই টাটা সন্স তাঁকে কন্সাল্ট্যান্টের পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
সাংবাদিক এবং বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের (M J Akbar) বিরুদ্ধে অন্তত ১১ জন মহিলা সাংবাদিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। আকবরকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হয়। আকবরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুরোধা সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। প্রিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির মোকাদ্দমায়ও হার হয় আকবরের।