বাংলার নির্মাণ শ্রমিকদের মাথার ছাদের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী রাজ্য
সম্পূর্ণ নিখরচায় বাংলার নির্মাণ শ্রমিকদের মাথার ছাদের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হল রাজ্যের শ্রমদপ্তর। বাড়ি তৈরির কারিগর নির্মাণ শ্রমিকদের অনেকের কিন্তু নিজেদের থাকার ঘর নেই। এবার অন্যের তাঁদের মাথা ছাদের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বাসস্থান পেতে চলেছেন বাংলার নির্মাণ শ্রমিকরা। ১৪ অক্টোবর শ্রমদপ্তরের নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছিলেন শাসক ও বিরোধী ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা থেকেই গোটা দেশের মধ্যে প্রথম বাংলায় এই প্রকল্প চালু হতে চলেছে।
বৈঠকে উঠে এসেছে, প্রত্যেক শ্রমিকের জন্যে বোর্ড বাড়ি তৈরিতে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে। শ্রমিকদের মধ্যে যাদের গ্রামে নিজস্ব জমি রয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হবে। জমি না থাকলে সরকারি জমিতে বোর্ড বহুতল ফ্ল্যাট তৈরি করতে পারে। ঘর তৈরি বা পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত রাখা হচ্ছে, পাঁচ বা দশ বছরের মধ্যে ঘর বিক্রি বা অন্য কাউকে ভাড়া না দেওয়ার অঙ্গীকার করতে হবে শ্রমিককে। অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আগে আবেদনের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং সেই নীতিতেই ঘর তৈরির টাকা বা ফ্ল্যাট বিতরণ করবে বোর্ড।
প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বোর্ডের কোষাগারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা রয়েছে, সেই টাকা থেকেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে আধিকারিকরা মনে করছেন, রাজ্যের কোষাগারে আপাতত কোনও বাড়তি চাপ না আসবে না। প্রথম দফায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগনোর কথা ভাবা হচ্ছে। প্রতি বছর ওই প্রকল্পে যাতে ভাল অঙ্কের টাকা খরচ করা যায়, সে প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হবে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার পোর্টালে নাম নাথিভুক্ত করিয়েছেন। তার মধ্যে সাড়ে ১৭ লক্ষের আধারসহ যাবতীয় নথি আপডেট করা রয়েছে। আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাঁরাই অগ্রাধিকার পাবেন।