আত্মঘাতীই হয়েছিলেন টেলিতারকা পল্লবী, চার্জশিটে জানালো গরফা থানা
আত্মঘাতীই হয়েছিলেন টেলিতারকা পল্লবী দে (Pallavi Dey), ৯০ দিনের তদন্ত শেষে চার্জশিট পেশ করে এমনটাই জানাল গরফা থানা। পল্লবীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। ঘটনার নেপথ্যে অভিযুক্ত হিসেবে পল্লবীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর নাম উঠে আসে। সুদীর্ঘ ১৫০৬ পাতার চার্জশিটে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, মারধর, হুমকি ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই গরফা থানা, সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুন (৩০২), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০বি), সম্পত্তি আত্মসাৎ (৪০৩) এবং বিশ্বাসভঙ্গের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছিল। জানা গিয়েছে, তদন্তে খুন, ষড়যন্ত্র, সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিশ্বাসভঙ্গের মতো অপরাধের কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, মারধর, হুমকির প্রমাণ মেলায় সেগুলিতে চার্জশিট উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ মে সকালে গরফার ফ্ল্যাট থেকে বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পল্লবী আত্মহত্যা করতে পারেন, তা পল্লবীর বাবা-মা থেকে শুরু করে অভিনেত্রীর সতীর্থ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন যে। পল্লবী ও তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনকে দায়ী করা হচ্ছিল। অভিনেত্রীর এক বান্ধবীর নামও তদন্তে উঠে আসে। পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে (Sagnik Chakraborty) দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে পল্লবীর বাবার লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময় পল্লবীর ঘরের দরজা ভিতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে আত্মহত্যার তত্ত্ব। সেই কারণেই মামলা সাগ্নিকের পক্ষে গিয়েছে। ৫১ জন সাক্ষী মামলায় বয়ান দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে এমন কোনও তথ্য মেলেনি যেখানে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্বাসভঙ্গ এবং পল্লবীর সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। চার্জশিট পেশের পর সাগ্নিকের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করতেই আলিপুর আদালত, জামিন মঞ্জুর করে। সাগ্নিক বর্তমানে জামিনে বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় পল্লবীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, ৩২৩ ধারায় মারধর এবং ৫০৬ ধারা অনুযায়ী হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।