সিবিআইয়ের আপত্তি সত্ত্বেও বিলকিস কাণ্ডে দোষীদের আরজি মঞ্জুর করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
১৫ আগস্ট বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় (Bilkis Bano Case) দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। গোধরার উপসংশোধনাগারে গত ১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল সকলে। জেল থেকে বেরনোর পরেই এগারোজন দোষীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি। তারপর তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয় বিতর্ক।
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি নিয়ে গুজরাট সরকারকে নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তার পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাট সরকারের তরফে যে নথিপত্র শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২৮ জুন কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায় গুজরাট সরকার। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর আসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। গুজরাট সরকারের (Gujarat Govt) আবেদন মেনেই দোষীদের মুক্তি দিতে সম্মতি জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিবিআই ও বিশেষ আদালতের আপত্তি সত্ত্বেও মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই আরজি মঞ্জুর করে দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union home ministry)।
প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে। ধর্ষণের অভিযোগে দোষী ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে-এই দুই ক্ষেত্রে সাজা মকুব করে দেওয়ার বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও কী করে বিলকিস কাণ্ডে জড়িতদের সাজা মকুব করে জেল থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হল? গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গুজরাট সরকারের যে উপদেষ্টা কমিটি দোষীদের সাজা মকুব করার প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক মহলের মতে, গুজরাট বিধানসভার ভোটকে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি (BJP)। ২০০২-এর ‘বীর’দের পুনর্বাসন দিয়ে মেরুকরণের তাস খেলতে চাইছে বিজেপি। ২০০২-কে খাতায় কলমে কলঙ্কহীন প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।