ঠাঁই নেই রাজ্যের কোর কমিটিতে, আরও দূরে সরিয়ে দেওয়া হল রূপাকে?
সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিজেপির কোর কমিটি প্রকাশ করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই তালিকায় ২০ জন সদস্য ছাড়াও ৪ জন বিশেষ সদস্য আছেন। মহিলা নেতাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। আছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। আছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তবে নাম নেই বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
রাজ্যসভায় বিজেপির হয়ে গলা ফাটানো রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সামলেছেন বাংলার বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি পদ। তারপর সেই পদ সামলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পল। কিন্তু এবছর এপ্রিল মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে কয়েক মাস ধরেই দলে নাকি তিনি ততটা ‘সক্রিয়’ নন। দলীয় কর্মসূচিতে থেকে শুরু করে এবছর জুলাই মাসে হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও তাঁকে যোগ দেননি বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে মিঠুন চক্রবর্তী যদি ওই কমিটিতে জায়গা পেয়ে যান, তা হলে রূপা কী দোষ করলেন?
তবে কি দলের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন রূপা? বাবুল সুপ্রিয় এবং অর্জুন সিংহ যে সময়টায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময়েই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে এর পর রূপার নম্বর। কিছুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গেও রূপার সাক্ষাতের পর জল্পনা আরও বেড়েছে বই কমেনি। যদিও ওই সাক্ষাৎ ‘ব্যক্তিগত এবং সৌজন্যমূলক’ বলে দাবি করেছিলেন রূপা ও কুণাল দু’জনেই।
তবে এবার সাম্প্রতিকালের সবচেয়ে বেশি সদস্যওয়ালা কোর কমিটিতে জায়গা না পেয়ে কী করবেন রূপা? দলবদল করবেন? নাকি রাজনীতি থেকে বনবাস নেবেন? যদিও সংবাদ মাধ্যমকে আজ তিনি বলেছেন যে কারা কোন কমিটিতে থাকবেন বা থাকবেন না, তা তিনি ঠিক করেন না । যারা ঠিক করেন, তাঁরা যা ঠিক বুঝেছেন, তাই করেছেন। রূপা জানান, এ নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা পালন করবেন। তবে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা রূপার এই বয়ান শোনার পরও মানতে চাইছেন না যে রূপা এই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে হতাশ হননি বা মনঃক্ষুন্ন হননি। যদিও সময়ই আসল কথা বলবে, রাজনীতির অলিন্দে থেমে নেই দলবদলের জল্পনা।