গুজরাত নিয়ে সংশয়ে মোদী? কল্পতরু অবতার দেখে সন্দিগ্ধ ওয়াকিবহাল মহল
নির্ঘণ্ট ঘোষণা থমকে থাকলেও গুজরাতের বিধানসভা ভোট কাল না হয় পরশু। সেই অবস্থায় নিজের রাজ্যে বিজেপিকে আবার জিতিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রীতিমতো কল্পতরু হয়ে উঠেছেন। বুধবার ধরলে আটদিনের ব্যবধানে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গুজরাতে পা দিয়ে নিজের রাজ্যকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৯ থেকে ১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর গুজরাত সফরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা ও উদ্বোধন হয়েছিল। তারও আগের সপ্তাহে ঘোষিত হয়েছিল ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। বুধবারে এই অঙ্কটা ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি। যোগ করলে মাত্র তিন সপ্তাহেই গুজরাত মোদীর হাত ধরে পেল প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই গুজরাতের ভোটগ্রহণ সময়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু একসঙ্গে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে । প্রশ্ন উঠছে, কেন নিজের গড়ে মোদীকে এভাবে কল্পতরু হতে হচ্ছে ? কেনই বা এত সংশয় গুজরাত নিয়ে?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলেছে, গুজরাতে কংগ্রেসের অবস্থা নাকি আগের থেকে ভাল। সুতরাং AAP-কে শিখন্ডি হিসাবে দাঁড় করালে, তারা যদি কংগ্রেসের ভোট কাটে তাহলে তার ফল পাবে বিজেপি। সুতরাং শিশোদিয়াকে নিয়ে বিতর্ক একদিক থেকে বিজেপিকে সাহায্যই করতে পারে, ভাবা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিলকাস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিতর্কে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদি-শাহকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর টুইট করেছেন, লালকেল্লা থেকে নারীর সম্মান ও মর্যাদার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, বাস্তবে উনি ধর্ষকদের পক্ষে। তাঁর প্রতিশ্রুতি ও কাজে বিস্তর ফারাক। মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর টুইটে লিখেছেন, সিবিআই না বলেছিল। সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারকও আপত্তি জানিয়েছিল। তারপরেও কেন্দ্র ওদের আগাম মুক্তিতে সায় দিয়েছে। মন্ত্রী প্রহ্লাদকে ঠুকে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের টুইট করেছেন, বিলকিস বানোর জায়গায় যদি আপনার পরিবারের কেউ হতেন, তখনই কি আপনি এই একই যুক্তি দিতেন?
সরকার বিরোধী সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা অল্পেশ ঠাকুরের গলায়ও। তিনি বলেন, এই ধরনের অপরাধীদের মুক্তির ক্ষেত্রে ভালো আচরণ যথেষ্ট নয়। অত্যন্ত লজ্জাজনক যে জেলমুক্তির দিন তাঁদের মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে।