আবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বাংলা, মোদীর ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়েও বঞ্চিত রাজ্য
ভারত ডিজিটাল পথে অগ্রসর হচ্ছে, ঢাক ঢোল পিটিয়ে এমনটাই দাবি করেন মোদী। আম জনতা আর্থিক লেনদেন করে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে, ব্যাঙ্কই হল দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। মোদী ঘোষণা করেছিলেন, ভারতের ভবিষ্যৎ নাকি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং। চিরাচরিত ব্যাঙ্কের ধাঁচ বদলে নতুন করে ডিজিটাল ব্যাঙ্কের শাখা স্থাপন করা হবে বলেও দাবি করেছিলেন মোদী। দেশজুড়ে এমন ৭৫টি ইউনিট স্থাপন করার কাজ চলছে। কোন কোন রাজ্যে কতগুলি ডিজিটাল ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হবে, সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সেখানেও বঞ্চনার শিকার বাংলা। জনসংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যগুলি ডিজিটাল ব্যাঙ্ক পাচ্ছে না, এক উদ্ভট পদ্ধতি অনুসরণ করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বৈষম্যের শিকার হয়েছে বাংলা।
তালিকা অনুযায়ী, বাংলায় কেবল দুটি ডিজিটাল ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হবে। ছোট রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও ত্রিপুরাও ব্যাঙ্কের এমন দুটি শাখা পাচ্ছে। অসম, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, নাগল্যান্ডও ২টি করে ব্যাঙ্ক পাচ্ছে, কোন যুক্তিতে স্বল্প জনসংখ্যার রাজ্যগুলির সঙ্গে একই আসনে বাংলাকে রাখা হল? উঠছে প্রশ্ন। বাংলার জনসংখ্যা দশ কোটিরও বেশি। বিহারও ২টি শাখা পেয়েছে। কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তিন থেকে চারটি করে ডিজিটাল ব্যাঙ্ক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী দিনে ডিজিটাল ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং লেনদেন ছাড়াও, ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজও হবে। কাগজপত্র ছাড়াই যাবতীয় কাজ হবে। এত বিপুল জনসংখ্যার রাজ্যে মাত্র দুটি ডিজিটাল ব্যাঙ্ক স্থাপন করে, সামগ্রিকভাবে বাংলার শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে আঁধারে ঠেলে দিল মোদী সরকার। স্পষ্টত এক্ষেত্রেও বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হল বাংলাকে।