ধনতেরাসে প্রদীপ দেওয়ার রেওয়াজের নেপথ্যে রয়েছে কোন কাহিনী?
আজ ২২ অক্টোবর, ধনতেরাস (Dhanteras)। আজ সন্ধ্যে ছটা তিন মিনিট থেকে ২৩ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যে ছটা চার মিনিট পর্যন্ত ধনতেরাস পালিত হবে। ধনতেরাস উৎসবের আরেক নাম ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী। ধনতেরাস নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত রয়েছে, বলা হয় হেম রাজা বহুকাল অপুত্রক ছিলেন। তারপর তার এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়, জ্যোতিষীরা সেই পুত্রের ভাগ্য গননা করে বলেন, এই পুত্র বিবাহের পরেই মারা যাবে। এরপর রাজা খুব যত্ন করে সেই সন্তানকে বড় করতে শুরু করলেন। তার বিবাহ হল। বিবাহের রাতে যমদূতেরা এল রাজপুত্রকে নিয়ে যেতে। রাজবধূ যমদূতেদের প্রশ্ন করলেন যে, এমন কি কোনও নিয়ম আছে যার থেকে যম যন্ত্রণা এড়ানো যায়?
তখন যমদূতেরা তাকে এক পুরনো ঘটনার কথা বলেন। যমদেব একদিন যমদূতেদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, তারা যে যমের আদেশে পাপীদের বিভিন্ন শাস্তি দেয়, তাতে তাদের কষ্ট হয় না? যমের প্রশ্নের উত্তরে যমদূতেরা বলেন প্রভু এটাই তাদের কর্তব্য। আদেশ পালন করে নিজ ধর্ম পালনে কোনও আবেগ কষ্টকে অন্তরের স্থান দিতে নেই। তারা জিজ্ঞেস করেন, এমন কি কোনও বিধান আছে যাতে মানুষ যমযন্ত্রণা এড়াতে পারে?
প্রশ্ন শুনে যমরাজ বললেন, ধনতেরাসের দিন সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে যমরাজের নামে দক্ষিণ দিকে প্রদীপ সমর্পণ করলে মানুষ আর যম যন্ত্রনা পায় না। দীর্ঘ নীরোগ জীবন যাপন করে। যমদূতেরা তখন সেই কথাই রাজবধূকে বলেন। তারপর থেকেই ধনতেরাস তিথিতে বাড়ির উঠানে দক্ষিণ দিকে যমের নামে প্রদীপ দেওয়ার রেওয়াজের প্রচলন হয়। যম যন্ত্রণার থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্যে প্রদীপ দেওয়া শুরু হয়।