ভূতচতুর্দশীতে শশ্মানে ভূতের গল্প
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভূত চতুর্দশী মানেই গা ছমছমে ব্যাপার। এই বুঝি তেনাদের আগমণ ঘটে। দক্ষিণারঞ্জন, শীর্ষেন্দু বাবুদের দৌলতে বাঙালিরা ছোট্টবেলাতে থেকেই ভূত নিয়ে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, সত্যজিৎ সকলেই সাহিত্যের পাতায় তেনাদের নিয়ে এসেছেন। বাংলা সাহিত্যে আলো করে রয়েছেন তারা। ভূতের রকমফেরের সুলুক সন্ধান করল দৃষ্টিভঙ্গি।
পেত্নী: এদের পা থাকে পিছনে ঘোরানো। যখন যেমন ইচ্ছে এরা রূপ নিতে পারে। পেত্নী আসলে নারী ভূত। আবার আরেক প্রকার পেত্নী হল, ঝেঁয়ো পেত্নী। এরা ঝাউগাছে লুকিয়ে থাকে।
শাকচুন্নি: এয়ো স্ত্রীরা মরে শাকচুন্নি হয়। সাদা শাড়ি, হাতে শাঁখা পরে এরা থাকে আমগাছে।
চোরাচুন্নি: চোর মরলে হয় চোরাচুন্নি। পূর্ণিমার রাতে এরা গৃহস্থ বাড়িতে হানা দেয়।
পেঁচাপেঁচি: এরা দুর্ভাগা পথিকের পিছু নেয়।
মেছোভূত: মাছ খেতে ভারী ভালোবাসে। মাছ কিনে ফেরার সময় অনেকে এদের খপ্পরে পড়ে।
দেও: লোকজনকে জলে ডুবিয়ে মারা এদের নেশা।
নিশি: প্রিয়জনের গলার স্বর নকল করে ঘর থেকে ডেকে আনে। রাতবিরেতে কারও ডাক শুনে বেরোলেই বিপদ।
মামদো ভূত: মামদো এক স্পেশাল প্রকার ভূত!
গেছোভূত: গাছে থাকে, রাতবিরেতে গাছের নিচ দিয়ে পথচারী গেলেই, ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ে।
ব্রহ্মদৈত্য: ব্রাহ্মণ মরলে হয় ব্রহ্মদৈত্য।
বেঘোভূত: বাঘের আক্রমণে মারা গেলেই বেঘোভূত হয়। সুন্দরবন এলাকায় নাকি এই ধরনের ভূত দেখা যায়।
স্কন্ধকাটা: এদের মাথা নেই! সাক্ষাৎ হলে ভিড়মি খেতে পারেন!
কানাভুলো: এই শ্রেণীর ভূতেরা দলছুট পথিককে গন্তব্য ভুলিয়ে মারে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ দৃষ্টিভঙ্গি কোনওরকম অপ্রাকৃতিক জিনিসে বিশ্বাস করে না।)