মোদী সরকারের প্রচারই সার! মিলছে না বেতন, আন্দোলনে নামছেন ব্যাঙ্ক মিত্ররা
দোরগোড়ায় পৌঁছবে ব্যাঙ্ক, গ্রাহকের বাড়ি বয়ে এসে ব্যাঙ্ক কর্মীরা পরিষেবা দিয়ে যাবেন, ঘটা করে ‘ব্যাঙ্ক মিত্র’ (CSC Bank Mitra) প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পে কর্মী নেওয়া হবে, তাদের বেতন হবে পাঁচ হাজার টাকা। লেনদেনের উপর এক শতাংশ কমিশনও মিলবে। কিন্তু মোদী সরকার (Modi Govt) আর কোন প্রতিশ্রুতি রেখেছে! বিরোধীদের অভিযোগকে এবারেও মিথ্যে প্রমাণ হতে দেয়নি মোদী সরকার। অন্য সব প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও সার প্রচার। এক বছরের মধ্যেই বেতন নামিয়ে আনা হয়েছে হাজার টাকায়। কমিশন মাত্র ০.৫ শতাংশ। সেই টাকাটুকুও নাকি গত তিন মাস ধরে দেওয়া হচ্ছে না। গোটা দেশ মিলিয়ে ২ লক্ষ ৮ হাজার ব্যাঙ্ক মিত্র চরম সংকটে। তার মধ্যে বাংলা থেকেই রয়েছে ২২ হাজার।
ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানাচ্ছেন, ইউপিএ (UPA) আমলে ২০০৮ সালে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘বিজনেস করেসপন্ডেন্ট’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মনমোহন সিংহের সরকার। পরবর্তীতে, ধীরে ধীরে শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রকল্প। ব্যাঙ্ক কর্মীদের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক মিত্র নাম দিয়ে সচল প্রকল্পকেই নতুন করে চালু করেছিলেন মোদী। কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই প্রকল্প।
বেঙ্গল ব্যাঙ্ক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ব্যাঙ্ক মিত্রদের পাঁচ হাজার টাকা বেতনের নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রথমদিকে সেই নিয়ম মানলেও, এখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির একাংশ বেতন এক হাজার টাকায় নামিয়ে এনেছে। কমিশনের টাকাও এখন কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তিন মাস যাবৎ কর্মীদের বেতনই দেয়নি। টাকা না পাওয়ায় উৎসবের মরশুমে দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক মিত্ররা ঠিকা সংস্থার আওতায় কাজ করেন। যদিও কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলিই ব্যাঙ্ক মিত্রদের প্রধান নিয়োগকর্তা। অর্থাৎ কর্মীদের অর্থ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির প্রাথমিক দায়িত্ব। বঞ্চনা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীরা আন্দোলনে নামতে চলেছেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনও (All India Bank Employees’ Association) দাবি আদায়ে সরব।