হিমাচলপ্রদেশে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, নির্দল প্রার্থী হতে চলেছেন ‘বিদ্রোহী’রা
হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই টিকিট বণ্টন নিয়ে কোন্দল শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। ১২ নভেম্বর এক দফাতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৫ অক্টোবর। স্ক্রুটিনি হবে ২৭ অক্টোবর। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই টিকিট বন্টন নিয়ে ধুন্ধুমার বিজেপি’র অন্দরে। টিকিট বণ্টনকে ঘিরে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল- দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপি।
জেপি নাড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচলে টিকিট বণ্টন নিয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁকে দফায় দফায় বিজেপি’র কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক বসতে হয়। আলোচনার পরও টিকিট বণ্টন নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, মাত্র ৬৮টি আসনের হিমাচল বিধানসভার প্রার্থী তালিকা দুটি পর্যায়ে ঘোষণা করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
প্রথম দফায় ১১ জন বর্তমান বিধায়ককে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অন্যদিকে দুই মন্ত্রী সুরেশ ভরদ্বাজ ও রাকেশ পাঠানিয়ার নির্বাচনী কেন্দ্র বদল করা হয়। এমন সব সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি হিমাচল বিজেপির রাজ্য নেতাদের একাংশের। ‘বিদ্রোহী’দের অভিযোগ, পুরনোদের অবহেলা করে দল বদুলদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এমনকী আসন কেনাবেচা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকিট না পাওয়া ‘বিদ্রোহী’ নেতারা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও ভোটে লড়তে হবে বিজেপিকে। জানা গিয়েছে, কাঙ্গরার ১০টি আসনের মধ্যে ৫ টিতে, মান্ডিতে ১০টির মধ্যে ৫-৬টি আসনে বিদ্রোহী নেতারা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়তে চলেছেন। টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন বেশ কিছু গেরুয়া নেতা। সবমিলিয়ে, হিমাচল নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।