ভোগ রান্না থেকে অতিথি আপ্যায়ন, একা হাতেই বাড়ির পুজো সামলালেন মমতা
করোনা পেরিয়ে বাংলাজুড়ে চেনা ছন্দে পালিত হল আলোর উৎসব। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি ছিল। প্রতিবারের মতোই এবারও মুখ্যমন্ত্রীর আয়োজিত হল কালীপুজো (Kali Puja)। অন্যবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তদারকি করছিলেন, ভোগ রান্না থেকে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন একা হাতে সামলালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসক, পোড় খাওয়া রাজনীতিক মমতা এদিন হয়ে ওঠেন ঘরের লোক।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজো মানেই চাঁদের হাট। এদিন প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল গণেশন। পুজোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সহজ সরল জীবনযাপন দেখে অবাক হন রাজ্যপাল, নিজেই বলে বসেন, “এত ছোট ঘরে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন!”। অন্যদিকে, গতকাল সকালেই চোখের জটিল অস্ত্রোপচার পর কলকাতা ফেরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চিকিৎসকের পরামর্শে যজ্ঞে অংশ নেননি অভিষেক। তবে পরিবারের সকলের সঙ্গে তিনি এদিন অঞ্জলি দিয়েছেন।
করোনা কাঁটা না থাকায়, বিভিন্ন জায়গার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজো দেখতে এসেছিলেন। মন্ত্রী-বিধায়ক, দলের জনপ্রতিনিধি, টলিউডের শিল্পী থেকে শুরু করে শিল্পপতিরাও সামিল হন পুজোয়, থাকেন রাজ্য ও পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিবারের মতো নবনীড় বৃদ্ধাবাসের আবাসিকদের বাড়ির পুজোয় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দুর্যোগের কারণে তাঁদের বেরতে নিষেধ করা হয়। পুজোর খিচুড়ি ভোগ নিজে হাতে রেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরতির পর প্রদীপের ওম-আশীর্বাদও দিয়েছেন। সব কাজ সামলে বানতলায় আগুন লাগার খোঁজও নিচ্ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় নিয়েও সতর্ক করেন রাজ্যবাসীকে, খুব দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে না বেরোনোর নিদান দেন।