কালীপুজোয় বায়ুদূষণ রুখে নজির বাংলার, কেন্দ্রের সমীক্ষায় দেশের সেরা মহানগর কলকাতা
করোনা পেরিয়ে চেনা ছন্দে ফিরেছে দীপাবলি, কালীপুজো তথা দীপাবলির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল বাজি। প্রতি বছরই কালীপুজো তথা দীপবলির রাতে বাজির দাপটে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। পরিবেশ কর্মীরাও সরব হন বারবার। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো ছবি দেখল বাংলা। কালীপুজোর রাতেও দূষণমুক্ত থাকল বাংলার পরিবেশ। অন্যান্য রাজ্য দূষণের কবলে থাকলেও, বাংলা ছিল প্রায় দূষণ মুক্তই। খোদ মোদী সরকারের পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
কেন্দ্রের সূচকই বলছে, একদা কালীপুজোর রাতে দূষিত তকমা পাওয়া আসানসোল ও দুর্গাপুরের বাতাস এবারের কালীপুজোয় ছিল দূষণমুক্ত। আসানসোল দুর্গাপুরের মানুষও তাই বলছেন। মাত্রাতিরিক্ত বাজি পোড়ানো হয়নি, দূষণ নেই, ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়নি। কেন্দ্রের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স থেকেই তা স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু বাংলার ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে যোগী রাজ্যে। ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের বাতাসের হাল অত্যন্ত খারাপ। বায়ুদূষণে জেরবার ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ, রাজধানী লখনউয়ের মান ২৪৬, যোগীর এলাকার গোরখপুরে সূচকের নাম ২১৩, বারোলিতে ২৬৬। দীপাবলির রাতে সব মহানগরের মধ্যেও কলকাতাতেই বায়ুদূষণের পরিমাণ সর্বনিম্ন।
মঙ্গলবার একিউআই প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কালীপুজোর রাতে আসানসোলের বাতাস ছিল সন্তোষজনক। দুর্গাপুরের পরিস্থিতি আরও ভাল, দেখা যায়নি ধোঁয়াশা। মানুষের শ্বাসকষ্ট হয়নি। বলাবাহুল্য, শব্দ বাজি ও দূষিত বায়ু সৃষ্টিকারী আতসবাজির দাপট রুখতে সফল রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন।
দীপাবলির রাতে রাজ্যজুড়েই বঙ্গের বাতাস ছিল নির্মল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অ্যাপের একিউআই সূচক বলছে, হলদিয়ায় সূচকের মান ৩৮, হাওড়ার ৫০। সূচক অনুযায়ী, দুই শিল্প এলাকার বাতাসের গুণমান বেশ ভাল। মহানগর কলকাতার সূচক মাত্র ৪০। অন্যদিকে দেশের বাকি তিন মহানগরীরের বাতাস ছিল দূষিত। দিল্লির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, রাজধানীর সূচক মান ৩০৩। চেন্নাই ও মুম্বইয়ের সূচক মান যথাক্রমে ২২৮ ও ২১২।