দলীয় কর্মসূচির নামেই সরকারি অনুষ্ঠানের নাম, চিন্তন শিবিরে সংঘাত?
আগামী আড়াই দশকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার রূপরেখা ঠিক করতে চাইছে মোদী সরকার। সেই কারণেই আজ থেকে হরিয়ানায় দুই দিন ব্যাপী বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের নাম দেওয়া হয়েছে চিন্তন শিবির। এ যাবৎ মূলত বিজেপির (BJP) দলীয় রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণ বা সাংগঠনিক বৈঠকের নাম হত চিন্তন শিবির। এবার সরকারি অনুষ্ঠানের সেই একই নাম দেওয়া হয়েছে। এতেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
মোদী সরকারের (Modi Govt) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবরা হাজির থাকবেন। বৈঠকের দ্বিতীয়দিনে মোদী যোগ দিতে পারেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, সীমান্ত রক্ষা এবং সীমান্ত এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য ও কেন্দ্রের অধিকার নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আইনি অধিকারের সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে রাজ্যগুলির সঙ্গে মোদী সরকারের মতবিরোধ হয়। শোনা যাচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নয়া প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে অবিজেপি রাজ্যগুলির অভিযোগ, মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির অধিকারে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করে চলেছে। চিন্তন শিবিরে অবিজেপি রাজ্যগুলি সেই বিষয়ে সরব হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বিরোধী রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আধিকারিকরা মূল বৈঠকের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না। ছটপুজো, ভাই ফোঁটার কারণে বাংলার স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা এবং ডিজি মনোজ মালব্য বৈঠকে থাকছেন না। রাজ্যের পক্ষ থেকে হোমগার্ডের এডিজি নীরজকুমার সিং এবং বাংলার রেসিডেন্ট কমিশনার রাম দাস মিনা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।