বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্তর বদলে কি শুভেন্দু?
বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে কান পাতলে একটা কথা শোনা যায়- দলের সবচাইতে বড় সমস্যা হল নেতৃত্বের সমস্যা। দলে সবাই নেতা হতে চান! সেখান থেকেই সংঘাত। ফলে দোলীয় কোন্দল মেটাতে মেটাতেই সময় কেটে যাচ্ছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
একটা সময় দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য বঙ্গ বিজেপি’র একাংশ আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছিল।। শেষ পর্যন্ত দিলীপকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখন আবার সুকান্ত মজুমদারকে সরানোর তোরজোর শুরু হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের ঠান্ডা লড়াই চলছে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে দু’জনের মতান্তর চরমে পৌঁছেছে। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, সে মতান্তরের কথা পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও। বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন ।
রাজ্য বিজেপি’র একাংশের মতে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরতে চলছেন এটা নিশ্চিত। কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কারণ, পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও দিল্লির তরফে শুভেন্দু অধিকারীকেই রাজ্য সভাপতি করা হবে বলে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন শুভেন্দু অধিকারীর সভাপতি হওয়ার পথে মূল কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেশব ভবন। আরএসএস চাইছে আদি বিজেপির কাউকে সভাপতি করা হোক। কোনও দলবদলু বা তৎকাল বিজেপির কেউ রাজ্য সভাপতির পদে বসুক তা চাইছে না কেশব ভবন। দিলীপ শিবিরও চাইছে সভাপতি বদল হলে সেখানে আদি বিজেপির কেউ বসুক। আবার আদি বিজেপি শিবিরের একাংশ দিল্লিকেও বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, সুকান্ত মজুমদার থাকুক। বিরোধী দলনেতা হিসেবেই বেশি কাজ করুক শুভেন্দু অধিকারী।
আবার শুভেন্দুর বিকল্প কোনও নামও দিল্লিকে দিতে পারছে না কেশব ভবন। ফলে রাজ্য সভাপতি বদলের প্রক্রিয়াটা কিছুটা জটিল হয়ে রয়েছে।